পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং-এর তেমাথানির বাসিন্দা স্বপ্না পড়িয়া। বর্তমানে সবং-এর একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরতা। বিদ্যালয়, পরিবারের চাপ সামলে রং-তুলিতে আঁচড় কেটে সৃষ্টি করেন নানা ছবি। পূর্ব মেদিনীপুরের পালপাড়ায় জন্ম শিক্ষিকা স্বপ্না পড়িয়ার।বাবা বিভূতিভূষণ পড়িয়া সামান্য পানের বরজ সামলে সংসার চালাতেন। মা জ্যোৎস্না সামান্য গৃহকর্ত্রী ছিলেন।
ছোট থেকে অভাবের মধ্য দিয়ে বড় হয়ে উঠা। তাই পড়াশুনার পাশাপাশি চর্চা করা হয়নি ছবি আঁকার। শেখাও হয়নি কোনও গুরুর থেকে। তবে নিজে নিজেই শুরু করেন এই ছবি আঁকা। জীবনের প্রথম এঁকে ছিলেন ঝাঁসির রানীর ছবি। আর সেই থেকে জেদ আরও বাড়ে। বিদ্যালয়ে পড়াকালীন নানা ছবি দেখে দেখে আঁকতেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: পরতে-পরতে, প্রতিটা বাঁকে ইতিহাসের গন্ধ, পুজোয় ঘুরে আসুন দাঁতন
২০০৬ সালে যোগ দেন শিক্ষকতায়। বিবাহ সূত্রে আসেন সবং-এ। তবে এর পর থেকে বিদ্যালয় পরিবার সামলে নিয়ম করে ছবি আঁকেন তিনি। বাড়িতে বাবা মেয়ে রয়েছে। তবে এই শিক্ষিকা থিমের উপর ফুটিয়ে তুলে নানা ছবি। নারীশক্তি এবং ‘মা’কে ফুটিয়ে তোলেন তাঁর ছবিতে। থিমের ছবি, পোর্ট্রেট, বিমূর্ত ছবি ফুটিয়ে তোলেন। ইতিমধ্যে নানা প্রদর্শনীতে অংশও নিয়েছেন তিনি। তাঁর আঁকা ছবি বিক্রিও হয়েছে। অবসরে, নানা গল্প, উপন্যাস বইয়ের প্রচ্ছদ ফুটিয়ে তোলেন তিনি।
বাড়িতেই শুরু করেছেন ছবি আঁকা শেখানো।ছাত্রছাত্রীদের কোনো বেতন না নিয়ে অঙ্কন প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তিনি। বিদ্যালয়েও ছাত্রছাত্রীদের সপ্তাহে বিশেষ একটি দিন অঙ্কনে প্রশিক্ষণ দেন তিনি। তবে নিয়ম করে ছবি আঁকেন তিনি। মা, নারিশক্তিই ফুটে উঠে তার ছবিতে। এভাবে শিল্পের সাথে সময় কাটানোর ইচ্ছে শিক্ষিকার।
Ranjan Chanda