এই ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে মৃতার স্বামী অবিন সহ ননদ নন্দাই শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা (West Medinipur Murder)। জানা যায়, গত ১৫ ডিসেম্বর রান্না করার সময় ওই গৃহবধুর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় স্বামী সহ শশুরবাড়ির লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা গৃহবধূর চিৎকার শুনে বাপের বাড়িতে খবর দেন, পাশাপাশি এলাকার অন্যান্য মানুষদের সহযোগীতায় প্রিয়াকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতা এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত ২১ ডিসেম্বর NRS এ মৃত্যু হয় প্রিয়ার।
advertisement
এইদিকে, মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বামী সহ শশুর বাড়ির অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক। মৃতার বাপের বাড়ির তরফে আনন্দপুর থানায় অভিযুক্তদের নামে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা আগুন ধরিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল সেই বয়ান দিয়ে গেছে ওই গৃহবধূ (West Medinipur Murder)। মৃতার এক বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মৃত প্রিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসীদের দাবি, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। বৃহস্পতিবার রাতে গৃহবধুর মৃতদেহ শালবনীর গ্রামে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়ে প্রিয়ার পরিবার পরিজন।
Partha Mukherjee