মেদিনীপুরের ইতিহাসের নানা খন্ড, বাংলা অভিধান, বিশ্বকোষ, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের নানা খন্ড সবই রয়েছে তার সংগ্রহে। সঠিক হিসাব না থাকলেও এ পর্যন্ত অবন্তি বাবুর সংগ্রহে রয়েছে তিন হাজারেরও বেশি বই। অর্থাৎ বাড়িতেই যেন আস্ত লাইব্রেরি বানিয়েছেন তিনি। বাড়িতেই অবন্তি বাবু একটি নার্সারী স্কুল চালান। তার সামান্য অর্থেই কিনে ফেলেন পছন্দ মত বই। ছোটখাটো চেহারার অবন্তি বাবু অবসর সময়ে নিজেও পড়তে থাকেন বইগুলোকে।
advertisement
আরও পড়ুন– লোকসভা নির্বাচনে মহিলা ভোট ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ শাসক দলের
আরও পড়ুন- নিম্নচাপের ছোবল, সাইক্লোনিক সার্কুলেশন, ঝোড়ো হাওয়া, দামাল বৃষ্টি, মেগা আপডেট
বাড়ির কাছেই হাই স্কুল। বিদ্যালয় শুরুর আগে কিংবা টিফিনের সময় তার বাড়িতে আসেন বহু বইপ্রেমী ছাত্র-ছাত্রীরা। ঘেটে দেখেন অবন্তি বাবুর সংগ্রহে থাকা নানান বই-এর পাতা। প্রসঙ্গত বর্তমান প্রজন্ম মুখ ফিরিয়েছে বই থেকে। ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে বই পড়ার প্রবণতা। ডিজিটাল যুগে ক্রমশ বই পড়ার অভ্যাস বদলাচ্ছে কচিকাঁচারা। তবে অবন্তি বাবুর ইচ্ছে, বর্তমান যুবক প্রজন্ম থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা বই পড়ুক। অবন্তিবাবু নিজের বাড়িতেই তৈরি করেছেন ছোট্ট একটি লাইব্রেরি। প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীর পাশাপাশি বই পড়তে আসেন ইতিহাস গবেষক থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
শিক্ষা বাঁচানোর তার এই মহৎ উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষ।
Ranjan Chanda