সবংয়ের অনিল পাত্র এবারেও পঞ্চায়েত সমিতির আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বয়স মাত্র ৯১! দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে ভোটে লড়াই করছেন অনিলবাবু। বয়সটা যে শুধু সংখ্যামাত্র, তা প্রমাণ করেছেন সবংয়ের হরিহরপুরের অনিল পাত্র। ১৯৭৮ সাল থেকে ৪৫ বছর ধরে নির্বাচনে লড়াই, তবে একবারও হারতে হয়নি অনিলবাবুকে।
আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের জন্য বিরাট নির্দেশ! সব ছুটি বাতিল, বড় চ্য়ালেঞ্জের মুখোমুখি উর্দিধারীরা
advertisement
মোট চার বারের প্রধান ছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি ফের সবং পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের প্রার্থী। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের হয়ে রাজনীতিতে হাতেখড়ি। ১৯৭৮-এ বাংলায় প্রথম ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে দাঁড়িয়ে জয়ী হন। আর সেই জয়ের ধারা আজও অব্যাহত। সবং ব্লকের নারায়ণবাড় ৭ নং অঞ্চল থেকে, প্রথম কংগ্রেসের টিকিটে জিতে প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। সেখান থেকেই পথচলা শুরু, সব সময় অপরাজিত।
আরও পড়ুন: কথায় কথায় আঙুল ফাটান? এতে হাড়ের ক্ষয়-আর্থারাইটিসের ভয়, নাকি জাস্ট আরাম? চমকে যাবেন শুনলে
কংগ্রেসের কর্মী থেকে ২০১৫ সালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়লাভ করে, সবং পঞ্চায়েতে সমিতির কর্মাধ্যক্ষ হন। এবারও পঞ্চায়েত সমিতিতে টিকিট পেয়েছেন। তবে জয়ের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী। তাঁর জয় নিশ্চিত বলছেন এলাকাবাসীও। স্থানীয়দের দাবি, অনিলবাবু এমন কাজের মানুষ যে কোনও দলের প্রার্থী হলে উনি জিতবেন। কারণ উনি দল দেখেন না। সবার কাজ করেন। মত সকলের। পেশায় শিক্ষক ছিলেন অনিলবাবু। ১৯৯৫ সালে অবসর গ্রহণ করেছেন, প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেননি। থেকেই গেলেন মানুষের টানে ওই গ্রামে, স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে কেঁদেও ফেলেন তিনি।
Ranjan Chanda