পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন এর বেজদা গ্রামের মেয়ে জবা হেমরম। মাস খানেক আগে কলকাতায় গান গেয়ে সুনাম কুড়িয়েছে। ছোট থেকেই গানের প্রতি ভালবাসা তার। সিনেমায় কিংবা পাড়ার অনুষ্ঠানে গান শুনে মনে রাখত জবা। সেখান থেকেই গুনগুন করে গান মুখস্ত করা। নিজে থেকেই গাইতো সে। ছোটবেলায় সে অর্থে কোন তালিম পায়নি। দাঁতন এর প্রত্যন্ত অজ পাড়া গাঁ থেকে উঠে এসে আজ সফল সংগীত শিল্পী দাঁতনের জবা হেমরম। ছোট থেকেই নানা সাঁওতালি অনুষ্ঠান কিংবা পাড়ার কোন অনুষ্ঠানে গান শুনে গুনগুন করে গাইতো সে। পরে বাড়ির পাশে এক সংগীত শিল্পীর কাছে তিনি গানের তালিম নেয়। পরে গানের শিক্ষা নেন দাঁতনের এক শিক্ষাগুরু থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রামের কেউ তিন বছর ধরে কথা বলে না! কী দোষ পরিবারের! জানলে শিউরে উঠবেন
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাঁওতালি কিংবা বাংলা ভাষায় গান গাইতো জবা। এরপরই ধীরে ধীরে পড়াশোনা এবং গানকে সাথি করে তার বড় হয়ে ওঠা। স্কুল কিংবা কলেজ জীবনে তার তেমন বন্ধু ছিল না। বন্ধু বলতে তার ছিল গান। পড়ার সময় হোক কিংবা অন্যান্য সময় নিজের মতই গুনগুন করে গান গায় সে। জবা চায় বড় হয়ে বড় সঙ্গীত শিল্পী হতে। চায় প্লে ব্যাক সিঙ্গার ও হতে।
আরও পড়ুন:
পাশাপাশি তার ইচ্ছে, সাঁওতালি জনগোষ্ঠীর যারা নানান শিল্পে সমৃদ্ধ তাদের যথেষ্ট সম্মান দিক সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই কলকাতায় কেন্দ্র সরকারের বীরগাঁথা অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছে জবা। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের একটি বিশেষ অনুষ্ঠানেও গান পরিবেশন করে। জবার বাবা ঈশ্বর হেমরম স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতেন তবে তিনি অবসর নিয়েছেন। তিনিও চান এক সংগীত শিল্পী হয়ে উঠুক তার মেয়ে। বড় সঙ্গীতশিল্পী হয়ে সমাজ ও এলাকার নাম উজ্জ্বল করুক প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এই মেয়ে, আশা সকলের।
Ranjan Chanda