TRENDING:

West Medinipur News: সামান্য নুন ভাতে দিনযাপন, আদিবাসী কন্যার লড়াই চোখে জল আনবে

Last Updated:

পুষ্টিকর খাবার না পেয়েও আদিবাসী এক কন্যার প্রতিভা, প্রশংসাযোগ্য। লং জাম্পে প্রথম স্থান অধিকার করে রাজ্যে সোনা জয় করেছে সে। শুধু চলতি বছরে নয়, গত বছরেও দুটি পদক ছিল তার।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর : মাটির ছিটেবেড়া দেওয়াল। মাথায় আসবেষ্টস চাপানো।দু’বেলা নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। তবে ভাঙ্গা ঘরেও চাঁদের উজ্জ্বল আলো ক্রমশ আরও উজ্জ্বল হচ্ছে। সে অর্থে পুষ্টিকর খাবার না মিললেও মুড়ি, ভাত খেয়ে মনের জোর আর কঠোর অনুশীলনে জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যস্তরীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় সোনা জয় করল প্রত্যন্ত গ্রামের এক আদিবাসী মেয়ে। বয়স অল্প হলেও জেদ অসামান্য। সামান্য ছিপছিপে চেহারা, তবে অসম্ভব জেদ খেলার প্রতি।বড় হয়ে ভারতের হয়ে খেলে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চায় প্রত্যন্ত গ্রামের এই মেয়ে।
advertisement

বাড়িতে সে অর্থ নেই বা কোনও ক্ষমতাও নেই। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার আদিবাসী পরিবারের মেয়ে সে।বাবার সামান্য দিনমজুরিতেই চলে সংসার। তবে দমে যায়নি সে। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে , পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আয়োজিত রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়াতে অংশ নিয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশিয়াড়ির সাঁতরাপুরের বৃষ্টি সিং। বৃষ্টি সাঁতরাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। অঞ্চল, চক্র, মহকুমা এবং জেলায় প্রথম হয়ে রাজ্য স্তরীয় ক্ষেত্রে দৌড় প্রতিযোগিতা এবং লং জাম্প প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল সে। দৌড়ে পরাজিত হলেও লং জাম্পে প্রথম স্থান অধিকার করে রাজ্যে সোনা জয় করেছে সে। শুধু চলতি বছরে নয়, গত বছরেও দুটি পদক ছিল তার।

advertisement

আরও পড়ুন : তসরের উপর ছবি আঁকতে দেখেছেন কাউকে? এই শিল্পীর কাণ্ড শুনলে বিস্মিত হবেন

প্রসঙ্গত প্রত্যন্ত গ্রামের খেটে খাওয়া পরিবারের জন্ম বৃষ্টির। বাড়িতে বাবা মা দাদা ও বৃষ্টির সংসার। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা পরিবারে। তবু বৃষ্টির বাবা বাবলু সিং দিনমজুরি করেই চালিয়ে রেখেছে সংসার। মেয়ের প্রতিভা জেনে প্রতিদিন সকালে বাড়ির পাশে একটি মাঠে অনুশীলন করাতে নিয়ে যায় মেয়েকে। বৃষ্টির ছোট থেকেই খেলাধুলার প্রতি বেশ আগ্রহ। দ্রুততার সঙ্গে দৌড় কিংবা বেশ কয়েক মিটার পর্যন্ত জাম্প দিতে পারে সে।

advertisement

View More

এই খেলাধুলার আগে, মেদিনীপুরে প্রশিক্ষণ নিয়েছে বৃষ্টি। সর্বতো সাহায্য করেছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা। সেই অর্থে মেয়েকে কোনও পুষ্টিকর খাওয়ার খাওয়াতে পারে না বাবা-মা। মেয়ের সুনাম করতে গিয়ে চোখে জল আসে তাদের। বড় হয়ে বৃষ্টি চায় দেশের হয়ে খেলতে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

advertisement

বৃষ্টির স্বপ্ন পূরণ করতে বদ্ধপরিকর বাবা-মা। কিন্তু কোনওদিন এই ভাঙ্গা ঘর থেকে কি দেশের হয়ে সুনাম অর্জন করতে পারবে বৃষ্টি? পেটে খিদে নিয়ে কি আদৌ সম্ভব তার এই প্রচেষ্টা? সেই প্রশ্ন সকলের।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
যা নেবেন মাত্র ৫ টাকা! বিজয়ার মিষ্টির সাবেকি স্বাদ পেতে হলে যেতে হবে এখানে, কোথায় জানেন
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম মেদিনীপুর/
West Medinipur News: সামান্য নুন ভাতে দিনযাপন, আদিবাসী কন্যার লড়াই চোখে জল আনবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল