অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানান মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক ড.প্রসূন কুমার পড়িয়া। এই উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হলো নানা কর্মসূচি। অনুষ্ঠিত হল চারদলীয় মহিলা ফুটবল প্রতিযোগিতা ও বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, তিরন্দাজি প্রতিযোগিতা, প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, সচেতনতা শিবির, কুইজ ও বর্ণময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাজিক, নাটক ও সঙ্গীতানুষ্ঠান সহ অন্যান্য কর্মসূচি। ফুটবল প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে ভাদুতলা বিবেকানন্দ হাইস্কুলকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে পিড়াকাটা হাইস্কুলের ছাত্রীরা।
advertisement
অন্যদিকে গৌতম স্মৃতি সাতপাটি বীণাপানী বিদ্যামন্দিরকে হারিয়ে ফাইনালে যায় মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের ছাত্রীরা। ফাইনালে পিড়াকাটাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মৌপাল স্কুল। মূল অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে আদিবাসী রীতি অনুযায়ী অতিথি বরণ, 'ধরতী আবা' বিরসা মুন্ডাকে উৎসর্গ করে সঙ্গীত এবং একক নাটক 'বিদ্রোহ' এবং চারাগাছে জল সিঞ্চনের মাধ্যমে ধরিত্রীকে শস্য শ্যামলা করার অঙ্গীকার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তারপর অনুষ্ঠিত হয় জমজমাট বিদ্যালয় কুইজ।
আরও পড়ুনঃ খড়গপুরের হরিয়াতাড়ায় রাতভর হাতির তান্ডব! ভাঙল মাটির বাড়ি
উপহার দেন কুইজ মাস্টার কৃষ্ণপ্রসাদ ঘড়া। কুইজে প্রথম হয় ভাদুতলা হাইস্কুল, দ্বিতীয় হয় মৌপাল হাইস্কুল ও তৃতীয় হয় ভাদুতলা হাইস্কুলের অপর একটি টিম। দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তথা মুখ্য আলোচক খড়্গপুর আই আই টি'র অধ্যাপক ড.ব্রজেশ দুবে তাঁর দুই ছাত্রের সহযোগিতায় "বর্জ্য থেকে সম্পদ, সমাজ সংযোগ" শীর্ষক মনোজ্ঞ আলোচনা উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুনঃ জায়গার অভাব, নেই নিজস্ব ভবন! যাযাবর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র!
তিন দিন ধরেই পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কের পক্ষ থেকে এলডিএম শুভঙ্কর মাহাতোর নেতৃত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত দর্শকদের সামাজিক সুরক্ষা মূলক বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে বোঝান হয়। একাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। তৃ্তীয় তথা শেষ দিনে পুরস্কার প্রদান ও লোক নিকেতনের নাটক ও সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীদের হাতে সার্টিফিকেট ও সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন আয়োজক সংস্থার মেদিনীপুর ইউনিটের ক্ষেত্রীয় প্রচার আধিকারিক সুদীপ্ত বিশ্বাস সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
Partha Mukherjee