নিজে থেকেই শুরু হয় আবৃত্তি চর্চা তার। তবে এখন নিজের কাজ সামলে কবিতা আবৃত্তি করাকেই জীবনের এক অঙ্গ হিসেবে বেছে নিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার ধনেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা শংকর কৈলা। শংকর বাবুর একটি চা দোকান রয়েছে। দোকান সামলে অবসরে কবিতা লেখেন। কবিতার ভাব প্রকাশে তিনি আবৃত্তিও করেন। এটাই তার নেশা।
আরও পড়ুন: দীপান্বিতার আলোয় আলোকিত দক্ষিণ পূর্ব রেল, প্রথম ট্রেন চালালেন এই মহিলা
advertisement
বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে তার এই আবৃত্তি চর্চা শুরু হয়। প্রথাগত কোনও তালিম জোটেনি তবুও নিজের মনের জোরকে সঙ্গী করে আজ তিনি এলাকার ডাকাবুকো বাচিক শিল্পী। সকাল থেকে সন্ধ্যা তার সময় কাটে চা বানিয়ে। খদ্দের সামলে অবসর সময়ে ভরসা আবৃত্তি করা। জীবনের ৪৩ টা বছর তিনি তার চা দোকান সামলে কাটিয়েছেন। বাকি জীবনেও হয়তো ভরসা সেই চায়ের দোকান। তবে আবৃত্তির সঙ্গে যেন তার আত্মার আত্মীয়।
আরও পড়ুন: বাড়ছে ফেক কয়েন বিক্রি, কী ভাবে সাবধান হবেন?
বিভিন্ন জায়গায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আবৃত্তি পরিবেশন করেছেন শংকর বাবু। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানেও ডাক পেয়েছেন আবৃত্তি পরিবেশনের জন্য। কখনও সখনও আবার চা প্রেমীদের নিজের লেখা কবিতা কিংবা বিভিন্ন কবির লেখা কবিতা শোনান। শংকর বাবুর কবিতা শুনতে শুনতে গরম চায়ে চুমুক দেন চা প্রেমীরা। বেশ কয়েক বছর বাংলা ধারাবাহিকে কাজও করেছেন তিনি। যতদিন বাঁচবেন কাটাতে চান কবিতার সঙ্গে, যতদিন গলার জোর আছে ততদিন চান আবৃত্তি করতে। এভাবেই শিল্পীর শিল্পসত্ত্বা বেঁচে থাকুক।
রঞ্জন চন্দ