রিক্সা চালানোর পাশাপাশি পেট চালাতে ভিন্ন কাজ খুঁজছেন চালকেরা। একসময় শহর থেকে গ্রামে রিক্সার প্রাচুর্য ছিল। চাহিদাও ছিল কত! এখন ভাড়া তো মিলছেই না, উল্টে জুটছে তিরস্কার। এরকমই অবস্থা জঙ্গলমহল অধ্যুষিত মেদিনীপুরের খেটে খাওয়া রিক্সাওয়ালাদের।
আরও পড়ুন, শ্রম দিবস তৈরিতে ত্রুটি মানলেন পঞ্চায়েত মন্ত্রী, অপেক্ষা কেন্দ্রীয় বরাদ্দের
advertisement
তাই তাঁরা এখন রিকশা চালানোর উপর নির্ভর করে পেট চালাতে পারছেন না। অন্য কাজেও হাত লাগিয়েছে। যদিও এই মেদিনীপুরের বেশিরভাগ অর্ধশিক্ষিত মানুষেরা একসময় রিক্সা চালিয়ে জীবন যাপন করতেন। রিক্সাওয়ালাদের জন্য এক সময় পৌরসভা থেকে রিক্সার স্ট্যান্ড করে দেওয়া হয় শহরের বিভিন্ন মোড়ে। স্টেশন থেকে বাসস্ট্যান্ড, কলেজ এবং স্কুল গেটে দেখা মিলত হাজার হাজার রিক্সাওয়ালাদের। দিন হোক বা রাত, এই রিক্সা চালিয়েই জীবিকা নির্বাহ।
আরও পড়ুন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে ছাড়ব! প্রণাম- সৌজন্য পর্ব মিটতেই মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
কিন্তু যুগের সঙ্গে সময় পাল্টেছে আর তাই রিক্সা ছেড়ে বাজারে এসেছে অটো এবং টোটো। আর এই অটো ও টোটোতে মানুষ যাতায়াত শুরু করায় রিক্সাওয়ালাদের রুটিরুজিতে টান পড়েছে। ৫০০-৭০০ টাকা রোজগারের জায়গায় তা কমে এসে দাঁড়িয়েছে ২০০-৩০০ টাকায়। জীবিকার আশঙ্কায় আতঙ্কিত রিক্সাওয়ালারা এখন দিনে দুপুরের ফাটা রোদে দাঁড়িয়ে রয়েছেন শহরের মোড়ে মোড়ে। একাধিকবার হাঁক ডেকেও পাচ্ছেন না যাত্রীদের সাড়া। তাই মালিকের দেওয়া রিক্সায় প্রতিদিন ভাড়া তুলতে হিমশিম খাচ্ছেন তাঁরা। কোনও দিন কেবল ভাত জোটে। কোনও দিন শুকনো মুড়ি খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।
এই অসময়ে পাশে পাওয়া যায়নি মেদিনীপুরের পৌরসভাকে। পাওয়া যায়নি প্রশাসনের কোন সাহায্য। তাই এই নস্টালজিক রিক্সা হারিয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন একটু একটু করে। অনেকেই রিক্সা চালানোর পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন কাজে লেগে পড়ছেন শুধুমাত্র সংসার ও পেট চালাতে। তাঁরা চাইছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক মেদিনীপুর পৌরসভা ও প্রশাসন। এক সময় মেদিনীপুর শহরে যে রিক্সার সংখ্যা ছিল কয়েক হাজার, তা এখন দাঁড়িয়েছে ১৫০-তে।
Partha Mukherjee