সূত্রের খবর, রামজীবন বায়ু সেনার একটি না ফাটা অবস্থায় বোমা পেয়েছিল কোন মাধ্যম থেকে। রামজীবন পেশায় লোহারের কাজ করেন। বোমা হাতে পেয়ে এদিন সকালে তিনি হাতুড়ি দিয়ে বোমা খোলার চেষ্টা করছিলেন, তখন হঠাৎই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রামজীবনের। বোমা খোলার সময় রামজীবনের বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী মালতি রানা, মেয়ে মেনোকা রানা এবং জামাই সুরজিৎ রানা বোমার জেরে এরা তিনজন আহত হয়। বোমার বিস্ফোরণের জেরে রামজীবনের বাড়িটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
advertisement
বোমার শব্দ শুনে স্থানীয় গ্রামবাসীরা রামজীবনের বাড়িতে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ভাঙ্গাগড় হাসপাতালে নিয়ে যায়। রামজীবনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত তিনজনকে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রামজীবনের স্ত্রী মালতি রানা ও মেয়ে মেনোকা রানার অবস্থা আশঙ্কাজনক। রামজীবনের জামাই সুরজিৎ রানা কেবলমাত্র হাঁটুতে চোট পেয়েছেন।
এদিন সুরজিৎ রানা সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, "এয়ারফোর্সের বোমা ছাড়াচ্ছিলেন ছেনি হাতুড়ি দিয়ে। সেই সময় ওটা ফেটে গিয়ে আমার শ্বশুরমশাই রামজীবনের মৃত্যু হয়। আমি, আমার স্ত্রী মেনোকা রানা ও শাশুড়ি মালতি রানা আহত হয়েছি। আমার বাড়ি খড়গপুরের শলুয়া এলাকায়। আগামীকাল গ্রামে শীতলা পূজা রয়েছে বলে আমরা শ্বশুর বাড়ি এসেছিলাম"। কিন্তু সুরজিৎ পরিষ্কারভাবে জানেন না যে তার শ্বশুর মশাই এয়ারফোর্সের বোমাটি কিভাবে পেলেন।