কিন্তু মেদিনীপুরে যেভাবে প্রতিদিন বহুতল নির্মাণ চলছে তাতে মেদিনীপুরের জনপ্রিয়তা হারিয়ে যেতে বসেছে বলেই মনে করছে মেদিনীপুরের মানুষজন। কারণ এই প্রবাদপ্রতিম ও বিপ্লবীদের যেমন বাড়ি রয়েছে তেমনি মেদিনীপুরের নামে বিখ্যাত বহু বাড়িও আজ বিলীন হয়ে গিয়েছে। শুধু টাকার কারণে বিলীন হয়ে গেছে তা নয় বেশিরভাগ সে বাড়ি সংরক্ষণ করতে গিয়ে হিম -সিম খেতে হয়েছে তার বর্তমান উত্তরসূরীদের। তাছাড়া অনেকেই সেই সব বাড়ি ছেড়ে এখন পেশাগত কারণে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছেন।
advertisement
যার ফলে দেখভালের অভাব সহ বিভিন্ন কারণে সেই জায়গা গুলি এবং বাড়িগুলি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন বর্তমান অংশীদাররা। তাই সেই সব জায়গায় গড়ে উঠছে বহুতল। দিনের পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে এই বহুতল নির্মাণে মদত যুগিয়েছে শহরের প্রোমোটাররা। একতলা দোতলা তো নয়, কোনটা বারো তলা তো কোনটা পনেরো তলা। আর তাতেই মেদিনীপুরের ঐতিহ্য জনপ্রিয়তা হারানোর আশঙ্কা শহরবাসীর মধ্যে। অনেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অনেকেই দায়ী করেছেন বর্তমান প্রশাসন ও পৌরসভাকে।
আরও পড়ুনঃ স্কুলের অবস্থা বেহাল! যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা!
যদিও অনেকে বহুতল নির্মাণে বাধা দিচ্ছেন না, তবে এই বহুতল নির্মাণের জন্য জল সংকটের বিষয়টিকেও এক বড় সমস্যার কারণ মনে করছেন অনেকে। মেদিনীপুরের শিক্ষক দেবাশীষ আইচ সোমনাথ দে, রা বলেন এই বহুতল নির্মাণ যেন নেশার মতো হয়ে গেছে মেদিনীপুরে। প্রতিদিন নতুন নতুন বহুতল গড়ে উঠছে শহরের বুকে এবং এই বহুতল কোনটা সাত তলা তো কোনটা বারো তলা। আবার কোনও টা ১৫ তলা যা ভয় ধরিয়েছে শহরবাসীর মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ রাস্তা মেরামতের দাবিতে ৬ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ গ্রামবাসীদের
এই বহুতল নির্মানের ফলে একদিকে যেমন আগামীদিনে দেখা দেবে তীব্র জল সংকট, তেমনই শহর জুড়ে বাড়িয়ে তুলবে দূষনের মাত্রা। তাছাড়া এই বহুতলে থাকা বাসিন্দারা কোনওভাবেই মেদিনীপুরের আঞ্চলিক এবং পুরনো মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইছেন না। যার ফলে সমস্যা ঘটছে সমাজের সামাজিকতার মধ্যে। এই বহুতল নির্মাণ দূষণের জন্যও দায়ী বলেই মনে করছেন শহরের একাংশ।
Partha Mukherjee