জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যক্তির নাম রিপন শেখ৷ সে মালদহের বাসিন্দা। প্রায় ন'বছর আগে ২০১৪ সালে জালনোট সমেত সিবিআইয়ের হাতে ধরা পড়েছিল রিপন শেখ নামে ওই যুবক।
সিবিআই সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে ফলকনুমা এক্সপ্রেসে চড়ে জাল নোট নিয়ে সেকেন্দ্রাবাদের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল রিপন শেখ। সেই খবর সিবিআইয়েরব কাছে আগাম ছিল। এর পর খড়্গপুর ষ্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই সাদা পোশাকে ফলকনুমা এক্সপ্রেসে উঠে পড়েন সিবিআই আধিকারিকরা। এর পরই শুরু হয় তল্লাশি। তল্লাশি চালিয়ে ওই যুবকের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেন সিবিআই আধিকারিকরা। জালনোট গুলি সবই ছিল হাজার টাকার বান্ডিল।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দুর্নীতিবাজদের উল্লাসের কারণ নেই....', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রসঙ্গে সুপ্রিম রায়ে 'সতর্ক বার্তা' বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের
তারপরই রিপন শেখ নামের ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে সিবিআই আধিকারিকরা। মেদিনীপুর আদালতে চলছিল সেই মামলা। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ ৯ বছর পর সেই জালনোট মামলায় রিপন শেখকে দোষী সাব্যস্ত করেন মেদিনীপুর জেলা আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সেলিম শাহ এবং সাজা ঘোষণাও করেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৮৯ বি ধারায় রিপন শেখকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪৮৯ সি ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা আদালতের ষষ্ঠ অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সেলিম শাহ।