বাঁশ পাতাকে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে রান্না করতে হচ্ছে, আর সেই রান্নাই চলে যাচ্ছে গর্ভবতী মা ও ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের কাছে, কেন এমন পরিস্থিতি ? কাঠের জ্বালানি বা রান্না ঘর নেই কেন নেই উঠছে প্রশ্ন ? এই কেন্দ্রে কয়েক মাস ধরে দেখা নেই কোন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষিকার। বেড়াবেড়িয়া আইসিডিএস কেন্দ্রের প্রায় ৭০ জন পড়ুয়া ও ২১ জন প্রসূতি মায়ের রান্না করা হয় প্রতিদিন। এই কেন্দ্রে একজন শিক্ষিকা একজন সহায়িকা থাকলেও শিক্ষিকা প্রায় কয়েক মাস ধরে আসেন না, তাই ছাত্রছাত্রীরাও আসছে না বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
advertisement
আরও পড়ুনঃ এবার নাম বদলের দাবি মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলের
এলাকাবাসীরা বলেন, "এইভাবে রান্না করলে যে কোন মুহূর্তে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।“ কেন্দ্রের সহায়িকা তনুশ্রী ঘোষের দাবি, এখান থেকে ৯১ জনের রান্না করা হয় প্রতিদিন, খোলা আকাশের নিচেই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে রান্না। আমরা ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আর শারীরিক অসুস্থতা থাকার কারণে শিক্ষিকা আসেনি। তা নাহলে মাঝে মধ্যে উনি আসেন।
আরও পড়ুনঃ দেড় মাসের মধ্যে ভাঙল ড্রেন! নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে
আইসিডিএস কেন্দ্রের শিক্ষিকা চায়না মাঝির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "কিছু অসুবিধা থাকার কারণে তিনি আসেননি, কিন্তু মাঝে মধ্যে আসেন। আর এই আইসিডিএস কেন্দ্রে আসতে হয় ছোট্ট বাচ্চাদের নৌকায় চড়ে শিলাবতী নদী পার হয়ে। তাই সেই বাচ্চারা আইসিডিএস কেন্দ্রের আসেনি। রান্নার বিষয়ে তিনি বলেন, ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে গ্রাম পঞ্চায়েত সকলকে জানানো হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন । এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, " আমি বিষয়টি শুনেছি, খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।“
Partha Mukherjee