নামি কোম্পানিতে কাজ ছেড়ে বর্তমানে বাড়িতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে বাড়িতেই রঙিন মাছের চাষ করছেন শুভদীপ। দেশি মাছের থেকে সৌখিন রঙিন মাছের চাহিদা বেশি বাজারে। যা অ্যাকোরিয়ামে রাখেন অনেকেই। এই মাছ চাষ করতে পারলে বিপুল আয় হয়। তাই এই চাষে মনোনিবেশ করেন তিনি। ভালোই আয় হচ্ছে। গ্রামীণ এলাকার বেকার যুবকদের দিশা দেখাচ্ছেন কুলাসেনির যুবক শুভদীপ মাইতি।
advertisement
আরও পড়ুন: বাস ও গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কা! আহত ২০! বসিরহাটে ভয়াবহ অবস্থা
বাড়িতেই বেশ কয়েকটি ট্যাঙ্কে মিল্কি, রেড গোল্ড, গোল্ডেন কার্প, সুভাঙ্গী একাধিক বিদেশী প্রজাতির রঙিন মাছ চাষ করেছেন তিনি। শুভদীপের বাবা হরেকৃষ্ণ মাইতি মাছের চাষ ও ব্যবসা করতেন। শুভদীপ কলকাতার একটি নামী কোম্পানিতে কাজ পেয়েও ছেড়ে বাড়িতে এসে স্বনির্ভরতার লক্ষে নিজেই বায়োফ্লকে মাছ চাষ শুরু করেন। বর্তমানে, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষ হওয়া রঙিন মাছ বিক্রি হচ্ছে হাওড়া এবং ভুবনেশ্বরে। শুভদীপ এই মাছ চাষে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বাড়িতে বায়োফ্লকে রঙিন নানা মাছকে বড় করে তুলছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে তার এই প্রকল্প দেখেছেন আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন:
জেলা আধিকারিকেরা ঘুরে গিয়েছেন। স্থানীয় বাজারে উৎপাদিত রঙিন মাছ বিক্রির সমস্যা থাকলেও বর্তমানে হাওড়া এবং উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। সামান্য অর্থ খরচ আর পরিশ্রমে লাভ পাচ্ছেন বিপুল পরিমাণ। আগামীতে সরকারি সাহায্য নিয়ে নানান দেশি মাছের ব্রিডিং এবং রঙিন মাছ চাষ করবেন শুভদীপ। সরকারী সাহায্য পেয়ে নতুন ক্লাস্টার তৈরি করছেন শুভদীপ। যেখানে মাছের ব্রিডিং সহ নানান প্রজাতির মাছ চাষ করা যাবে। স্বনির্ভর হতে পারবে গ্রামীণ এলাকার যুবকেরাও।
Ranjan Chanda