ড্রাগন চাষের পাশাপাশি পরীক্ষামূলকভাবে ফার্ম করে দেশি মুরগির চাষ করছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের এক যুবক। ড্রাগন চাষের পাশাপাশি মুরগি চাষ করে তিনি যেমন আর্থিক লাভ পাচ্ছেন, তেমনই একইভাবে চাষে সহায়তা করছে এই মুরগি।
আরও পড়ুন: ভ্যানের উপর বসেছিলেন বৃদ্ধ, ছুটে এসে ধাক্কা মারল টোটো! তারপর…
এখন ধান চাষ করে তেমন লাভ হচ্ছে না বললেই চলে। তাই বহু চাষি ঝুঁকছেন অন্য পেশায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার গোগ্রামের সুব্রত মাহেশ বেশ কয়েক ডেসিমেল জায়গায় ড্রাগন চাষ করছেন। পাশাপাশি প্রাকৃতিকভাবেই ফার্মে করেছেন দেশি মুরগির চাষ। সেই মুরগি বিক্রি করে একদিকে যেমন আয় হচ্ছে, তেমনই ড্রাগন চাষেও সাহায্য করছে এই দেশি মুরগি।
advertisement
ফার্ম করে সুব্রত প্রায় ৩৫০-এরও বেশি দেশি মুরগির চাষ করেছেন। প্রতিদিন ডিম, মাংসের পাশাপাশি এই দেশি মুরগি ড্রাগন চাষেও সহায়তা করছে। কিন্তু কীভাবে? সুব্রত মাহেশই বিস্তারিতভাবে জানালেন বিষয়টি।
প্রসঙ্গত ড্রাগন চাষের ক্ষেত্রে প্রধান শত্রু পিঁপড়ে। এদিকে ছোট ছোট মুরগি পিঁপড়েকে খাবার হিসেবে খেয়ে নেয়। মুরগি পিঁপড়ের বাসা ভেঙে দেওয়ায় ড্রাগন গাছের তেমন ক্ষতি হয় না। পাশাপাশি ড্রাগন গাছ বড় হলে তার নিচে অন্য কিছু চাষ করা যায় না। ড্রাগন গাছের নিচে ঝোপঝাড়, নানান পোকামাকড়ের জন্ম হয়। যা ক্ষতি করে ড্রাগন চাষের। এদিকে দেশি মুরগি পোকামাকড় খায়। যার ফলে ড্রাগন চাষের পাশাপাশি মুরগি চাষ করলে কৃষক একদিকে যেমন তাঁর ফসল বাঁচাতে পারেন তেমনই পরে সেই মুরগি থেকেও আয় হয়।
কৃষক সুব্রত মাহেশ প্রতিদিনই এই মুরগি বিক্রি করে যেমন লাভ পাচ্ছেন তেমনই সহায়তা হচ্ছে চাষেও। প্রাকৃতিক উপায়ে সামান্য পরিচর্যায় বড় হয়ে উঠছে দেশি মুরগিগুলো। মাংস, ডিমের পাশাপাশি এই মুরগি বিক্রি করে বেশ লাভও পাচ্ছেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে একদিকে ড্রাগন চাষ অন্যদিকে মুরগি প্রতিপালন করে মালামাল হচ্ছেন এই কৃষক।
রঞ্জন চন্দ