লিফলেট, ফেস্টুন, হ্যান্ডবিলের দারা সচেতনতার প্রচার হয়েছে। কিন্তু তারপরেও মাঠের পর মাঠে এভাবেই চলছে দেদার ন্যাড়া পোড়ানো। ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছে গোটা এলাকা। সম্প্রতি এ বিষয়ে ঘাটালে এসে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইঞ্যা জানিয়েছিলেন এই ধরনের ন্যাড়া ও খড় পড়ানো উত্তর উত্তরপ্রদেশে দেখা যায়, তা ধীরে ধীরে আমাদের এই বাংলায় এসে গিয়েছে। এই ধরনের কাজ বন্ধ করতে বিডিও এসডিও গ্রাম প্রঞ্চায়েতগুলিকে এলার্ট থাকতে বলেছিলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: এক ধাক্কায় বস্তা পিছু ২০-৩০ টাকা, দাম বাড়ল সিমেন্টের, বাড়ি বানাতে খরচও বাড়বে!
ন্যাড়া পোড়ানো নিয়ে ঘাটালের সহকৃষি অধিকর্তা শ্যামাপদ সাঁতরা বলেন মাঠ থেকে ধান তোলার পর নাড়া ও খড় পুড়ানোর বিরুদ্ধে কৃষি দফতর থেকে যথেষ্ট প্রচার চালিয়েছে। কৃষি দপ্তরের পরামর্শ ন্যাড়া গুলিকে কুটিয়ে জমিতে ফেললেই জমিতে জৈব সারের কাজ হতে পারে। জমিতে পোড়ানো হলে মাটির ক্ষতি হয়। তাছাড়া মাটির মধ্যে থাকা উপকারি পোকা ও কেঁচো মরে গিয়ে মাটির উপকারিতা নষ্ট হতে পারে।
আরও পড়ুন: বাড়বে রুপির স্বীকৃতি, ১২টি বিশেষ ভস্ত্রো অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি আরবিআই-এর!
আসলে হারভেস্টার মেশিন আসার পরেই এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকারের পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে ধানের খড় ও নাড়া পোড়ানো আইনত নিষিদ্ধ। এর দ্বারা পরিবেশ দূষিত হয় যা বর্তমান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু চাষীদের মুখে উল্টো সুর। প্রশাসনের সচেতনতা উপেক্ষা করে চলছে নাড়া পোড়ানো।
Partha Mukherjee