প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ সাউদ খানের বক্তব্য, হঠাৎই একটা আওয়াজ হয়। দেখতে পাওয়া যায় এক যুবতী রাস্তার ওপর রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছে।আমাদের মনে হয় এর পেছনে বড় কোনো চক্র রয়েছে।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পিংলা থানায় খবর দেওয়া হলে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পিংলা থানার পুলিশ সুব্রত দলুই নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দু'মাসে ১৩৯ কোটি আয়! খুশির হাওয়া খড়্গপুর রেলওয়ে কর্মীদের মধ্যে
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের বিরুদ্ধে যুবতীকে প্রাণে মেরে ফেলার অভিযোগ দায়ের হয়। তবে কি অপহরণ করে কোথাও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল নাকি গাড়ি ধাক্কা দিয়ে মারার চক্রান্ত করছিল ওই যুবক ? তদন্তে নেমেছে পিংলা থানার পুলিশ। বর্তমানে কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে ভর্তি ওই তরুনী। ঘটনায় আরও বিস্তারিত তদন্ত করছে পিংলা থানার পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের বাড়িতে বাড়িতে পালিত 'আভড়াপুনেই'
তবে তদন্তে নেমে পুলিশ ওই এলাকার CCTV ফুটেজ দেখেই হতবাক। পিংলার মুন্ডুমারি এলাকায় আহত অবস্থায় পড়ে থাকা কলেজ ছাত্রীর সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যাচ্ছে, ওই কলেজ ছাত্রীকে অপহরন করা হয়নি। ডেবরাতে লাগানো একটি সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যাচ্ছে নিজের ইচ্ছায় এসে মারুতি গাড়ীতে উঠেছে ওই কলেজ ছাত্রী। এতেই বোঝা যায় গ্রেফতার হওয়া যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু ডেবরায় নিজের ইচ্ছায় মারুতিতে ওঠার পর কি এমন হল, যে পিংলার মুন্ডুমারিতে তাকে গাড়ী থেকে ফেলে দেওয়া হল। এটাই এখন পুলিশের কাছে প্রশ্ন ? যদিও প্রেমের কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতার হওয়া যুবক।
Partha Mukherjee