এই খবর পাওয়ার পরেই জঙ্গলমহলের চার জেলার পুলিশ আধিকারিকদের নিয়ে বিশেষ বৈঠক করেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। সাথে ছিলেন আইজি পশ্চিমাঞ্চল, ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) সহ রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা। বৈঠকে মাওবাদী সমস্যা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদীদের গতিবিধি লক্ষ করা গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে মাওবাদী পোস্টার। এমনকি, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলা থেকে ল্যান্ড মাইনও উদ্ধার হয়েছে সম্প্রতি। গত ১৭ মার্চ শালবনীর রঞ্জার জঙ্গলে যে ল্যান্ডমাইন পাওয়া গিয়েছিল, সেটিকে নকল বলা হলেও, যথেষ্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতারও করেছে।
advertisement
অন্যদিকে, ঝাড়গ্রামে পাওয়া ল্যান্ডমাইন এবং গত ৮ এপ্রিলের মাওবাদী বনধের সাফল্য, জঙ্গলমহলে ফের মাওবাদী আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এরপরই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী জানায়, চলতি মাসের মধ্যেই জঙ্গলমহলের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় বড়সড় নাশকতা চালাতে পারে সিপিআই মাওবাদী। তার পরই পুলিশ কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়। সমগ্র জঙ্গলমহলে জারি করা হয়েছে 'হাই অ্যালার্ট'। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ জঙ্গলমহল এলাকায় দফায় দফায় চালানো হচ্ছে নাকা চেকিং ও তল্লাশি অভিযান। রুটমার্চও চালানো হচ্ছে গোটা জঙ্গলমহল জুড়ে। শালবনী থানার জঙ্গল অধ্যুষিত বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে ওয়্যারলেস CCTV ক্যামেরা। যে সমস্ত ক্যামেরার দ্বারা ২৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে নজরদারি।
বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপার দিনেশ কুমার জানান, জেলা জুড়ে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি নজরদারি। জঙ্গলমহল সহ জেলার বিভিন্ন প্রবেশ পথে চলছে বিশেষ নাকা চেকিং। পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে জেলা জুড়ে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পুনরায় পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গনগনি এলাকায় নতুন করে পাওয়া গেলো মাওবাদী নামাঙ্কিত পোষ্টার। ফলে এলাকায় যেমন নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, তেমনি পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ।