ইতিহাস চর্চায় ডুবে থাকার ফলে তাঁর আর সংসার জীবনে প্রবেশ করা হয়নি। শনিবার কলেজে এসে জানালেন আগে একই বাড়িতে যৌথ পরিবারে থাকতেন। তাঁর বইপত্র, গবেষণা সংক্রান্ত কাগজ, পাণ্ডুলিপি, পুরাতন সব দলিল দস্তাবেজে কয়েকটি ঘর ভরে উঠেছিল। এজন্য মেদিনীপুরের ক্ষুদিরাম নগরে মাইকো লেনে একটি দোতলা বাড়ি নির্মাণ করেন। ১৯৯৮ সাল থেকে সেখানেই একা থাকেন। ২ জন সর্বক্ষণের পরিচারিকা আছেন। তাঁরাই তাঁর দেখভাল করেন।সম্প্রতি কলেজের ১৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর সময়ই তিনি কলেজকে এই প্রস্তাব দেন।
advertisement
কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোপাল চন্দ্র বেরা জানান, "ইতিহাস নিয়ে তিনি এখনো লেখালিখি করছেন। বিশিষ্ট ইতিহাসবীদ, লেখিকা, সাহিত্যিক, গবেষক তথা ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজের প্রাক্তন ছাত্রী ড. অন্নপূর্ণা চট্টপাধ্যায়কে শনিবার বিশেষ সম্মান জ্ঞাপন করা হল মেদিনীপুর কলেজে।" মেদিনীপুর কলেজের আজীবন সদস্যা এবং এশিয়াটিক সোসাইটির দ্বারা বিশেষ পুরস্কারে ভূষিতা অন্নপূর্ণা চট্টোপাধ্যায়কে শনিবার দুপুরে বিশেষভাবে সম্মান জ্ঞাপন করেন মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেরা। পাশপাশি এদিন বিশিষ্ট ইতিহাসবীদ গবেষক ড. অন্নপূর্ণা চট্টোপাধ্যায় মেদিনীপুর কলেজের প্রতি তাঁর আত্মিক সম্পর্ক, ভালবাসার টানে মেদিনীপুর কেডি কলেজ অফ কমার্স এলাকায় থাকা প্রায় ১.৬৭ একর জমির উপর বসত বাড়ি মেদিনীপুর কলেজকে দান করেন। সেই জমিদানের নথি আজ মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেরার হাতে তুলে দেন।
মেদিনীপুর কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র বেরা জানান, প্রখ্যাত এই ইতিহাসবীদ ড. অন্নপূর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের জীবনে অর্জিত সমস্ত কিছু প্রদর্শনীর জন্য একটি গ্যালারী তৈরি করা হবে। যেখানে তাঁর লেখা সাহিত্য, ইতিহাস চর্চার বিভিন্ন গ্রন্থ প্রদর্শন করা হবে। যাতে ভবিষ্যত প্রজন্ম সেখান থেকে নতুন কিছু জানতে ও শিখতে পারে।