পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানার খাকুড়দা এলাকা। বুধবার প্রায় সকাল ১০টা নাগাদ বাজার সংলগ্ন ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন এক স্বাস্থ্যকর্মী ও শিক্ষিকা। পাশ দিয়ে কয়েকটি মোষ যাচ্ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগে একটি মোষ পরপর আক্রমণ চালায়। তাতেই গুরুতর জখম হন দুই মহিলা। তৎক্ষণাৎ তাঁকে ভর্তি করা হয় স্থানীয় একটি চিকিৎসাকেন্দ্রে। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস দূরে পালাবে! রোজ রাতে ঘুমনোর আগে একটি করে চিবিয়ে খান, বহু রোগের যম এই একটি মশলা!
ঘটনার পরই এলাকায় শোরগোল পড়ে, ছড়ায় আতঙ্ক। ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। লোকালয় থেকে ফাঁকা জায়গায় সরানো হয় মোষটিকে। তাড়া খেয়ে ধান জমির মধ্যে অবস্থান করে দীর্ঘক্ষণ। লোকালয়ে যাতে না আসে তার জন্য পুলিশ পাহারা দিয়েছে। মোষটিকে বাগে আনার চেষ্টা চালান পুলিশকর্মীরা।
প্রসঙ্গত স্কুল টাইমে এমন ঘটনা ঘটায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। মোষের আক্রমণের আতঙ্কে ধনেশ্বরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বুধবার উপস্থিতির হার একেবারে কম। বিদ্যালয়ে এদিন উপস্থিত ছিল মাত্র তিনজন পড়ুয়া। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে মাত্র ঢিল ছোড়া দূরত্বেই যে মোষের অবস্থান। স্বাভাবিকভাবে আতঙ্কিত পড়ুয়ারা। স্কুলের গেট কার্যত তালাবন্ধ অবস্থায় রাখতে হল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। এমন অপ্রীতিকর ঘটনায় ভীত সন্ত্রস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারাও।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ধনেশ্বরপুর এলাকায় রয়েছে গরুর হাট, বিক্রি হয় মোষও। প্রায়শই ব্যবসায়ীরা মোষগুলোকে নিয়ে রাজ্য সড়ক ধরেই যাতায়াত করেন। যে কারণেই এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্বাস্থ্যকর্মী, এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। উন্মত্ত মোষটিকে বাগে আনতে তৎপর পুলিশ প্রশাসন। তবে রাস্তা দিয়ে মোষগুলোকে নিয়ে যাওয়ার সময় বাড়তি নজরদারির প্রয়োজন বলে মনে করছেন সকলেই।
রঞ্জন চন্দ