বড়দিন থেকে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়ে যায় পিকনিকের আমেজ। বাদ থাকে না পশ্চিম বর্ধমান জেলাও (West Bardhaman News)। জেলার মানুষ তো বটেই, পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী জেলা এবং ভিন রাজ্যের মানুষ, দুর্গাপুর-আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় পিকনিক করতে আসেন। বছরের শেষ দিনে বহু মানুষ আনন্দ, হৈ-হুল্লোড় এবং খানাপিনার সঙ্গে কাটাতে পিকনিকে মজেছিলেন। আসানসোলের মাইথন হোক বা দুর্গাপুর ব্যারেজ, সব জায়গাতেই মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। তাছাড়া বর্ষবরণের জন্য বিভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। বছরের শেষ সূর্যাস্ত হতেই, নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য আগাম প্রস্তুতি শুরু হয়েছে অনেক জায়গায়।
advertisement
এই আনন্দ উৎসবের মধ্যে রয়েছে গভীর উদ্বেগ (West Bardhaman News)। কারণ এই মুহূর্তে রাজ্যের করোনা সংক্রমনের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি জোরদার হচ্ছে ওমিক্রণ আতঙ্ক। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তাই, উৎসবের মরশুমে সংক্রমণ যাতে লাগামছাড়া না হয়, তার জন্য বাড়তি সচেতনতা নিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি বহু অনুষ্ঠান উদ্যোক্তারাও সচেতন হয়েছেন।
লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে পুলিশ, প্রশাসনের তরফ থেকে। যে সমস্ত জায়গায় মানুষের ভিড় হয়, সেখানেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রচার চালাতে দেখা গিয়েছে। দুর্গাপুর কোকওভেন থানার পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে প্রচার। করা হয়েছে মানুষকে সচেতন। মাস্ক বিলি করা হয়েছে। পিকনিক স্পটের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেও সচেতনতা প্রচার চালানো হয়েছে। একই ছবি দেখা গিয়েছে অন্যান্য পিকনিক স্পটগুলিতেও।
এছাড়াও লাউদোহার সরপি গ্রামের নবনির্মিত ইকোপার্কে বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল (West Bardhaman News)। কিন্তু এই অতিমারির কথা মাথায় রেখে, সেই অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার প্রচার চালানো হলেও, বিভিন্ন মানুষ অসচেতন হয়েই রাস্তায় বের হচ্ছেন। অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। এমত অবস্থায় মানুষের জমায়েতে বিপদ বাড়তে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই সরপি গ্রামের ইকোপার্কে অনুষ্ঠান স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, বছরের শেষ দিনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বজায় থাকল পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল পুরনিগমের নির্বাচন। সদ্য প্রকাশিত হয়েছে সমস্ত দলের প্রার্থী তালিকা। তবে তার মধ্যে তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে কিছু ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা গিয়েছে ক্ষোভ। অনেক বিদায়ী কাউন্সিলর পাননি টিকিট। স্বভাবতই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কুলটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে প্রাক্তন কাউন্সিলার সমর্থকদেরও (West Bardhaman News)।
অন্যদিকে, সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী দেখে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তুলেছেন আসানসোলের বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। এইভাবেই আনন্দ, উদ্বেগ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে জেলায় হল বছরের শেষ সূর্যাস্ত। অপেক্ষা নতুন বছরের, নতুন সূর্যোদয়ের।
Nayan Ghosh