তাছাড়া বর্তমানে রথযাত্রার দিনে বহু দুর্গা পুজোর খুঁটি পুজোর সূচনা করা হয়। তবে চলতি বছরে দুর্গাপুজো মৃৎশিল্পীদের কাছেও একটু বিশেষ। স্বাভাবিকভাবেই রথযাত্রার দিনে প্রতিমা তৈরীর কাছে শুরু করার স্বাদও তাদের কাছে অনেকটাই অন্যরকম। উল্লেখ্য, বিগত দু'বছর করোনা মহামারির জন্য জৌলুস হারিয়েছিল দুর্গাপুজো।
তবে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সংক্রমণ। ফলে উদ্যোক্তারাও আবার জাঁকজমক ভাবে দুর্গাপুজো করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। সেজন্যই কিছুটা আশার আলো দেখছেন শিল্পীরা। তবে মৃৎ শিল্পীদের আক্ষেপ রয়েছে অনেক। তাঁরা বলছেন ২০২২ সালে এসে প্রতিমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় সরঞ্জামের মূল্য অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে বাড়েনি প্রতিমার মূল্য। তাছাড়াও বাইরে থেকে যে সমস্ত কারিগররা প্রতিমা তৈরি করতে আসেন, তাদেরকেও বাড়তি মূল্য চোকাতে হচ্ছে। অন্যদিকে পুজোর সংখ্যা কমে যাওয়ায় কিছুটা মন্দা দেখা দিয়েছে শিল্পীদের। তবে চলতি বছরে তাঁরা আশা করছেন, জাঁকজমক ভাবে হবে দুর্গাপুজো। সেজন্য অন্যান্য বছরগুলির মত তাঁরা ৫০০ থেকে ৬০০ প্রতিমা তৈরির লক্ষ্য নিয়েছেন। যদিও আক্ষেপের সুরে মৃৎশিল্পীরা বলছেন, প্রতিমা তৈরির জন্য কলকাতার কারিগররা যে মূল্য পা, জেলার কারিগররা সেই মূল্য পান না। তবুও তারা এই দুর্গা পুজোকে কেন্দ্র করে রথযাত্রার দিন থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।
advertisement
Nayan Ghosh