প্রায় প্রতিদিনই কুয়াশায় মোড়া সকালে ঘুম ভাঙছে জেলাবাসীর। একইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে পতন হচ্ছে তাপমাত্রার। এই জেলায় ইংরেজি নববর্ষ ও তার পরের দিন সকালেও দেখা গেল কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া। নববর্ষের দিন, অর্থাৎ রবিবার সেভাবে সূর্যের দেখা না পাওয়া গেলেও সোমবার রোদ উঠেছে। তবে তাপমাত্রার বিশেষ হেরফের হয়নি। ফলে এই জেলার মানুষ ঠান্ডায় কার্যত কাঁপছে।
advertisement
কয়লখনি অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে সন্ধে হলেই আগুন জ্বালিয়ে গা-হাত সেঁকতে দেখা যাচ্ছে মানুষজনকে। সকলের দিকে যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাঁদের সকলেই প্রায় নাক, মুখ ঢেকে চলছেন। কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার জেরে সকালের দিকে দৃশ্যমানতাও কম থাকছে।
আরও পড়ুন: জেলায় জাতীয় ক্যারাটের আসর বসিয়ে চমক পূর্ব বর্ধমানের, ফলেও তাক লাগাল
সকাল থেকে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার জেরে রাস্তাঘাটেও কম লোক বেরোচ্ছে, গাড়ি-ঘোড়াও চলছে কম। বাস-অটোয় লোকজন অন্য সময়ের তুলনায় বেশ কিছুটা কম। জাতীয় সড়কে সকালের দিকে বাইক, প্রাইভেট গাড়ির সংখ্যাও যথেষ্ট কম। যেসব গাড়ি রাস্তায় বেরোচ্ছে দৃশ্যমানতা কম হওয়ার দরুন তাদের গতিও কম থাকছে। সাবধানে গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী আরও কয়েকদিন এমনই কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া বজায় থাকবে পশ্চিম বর্ধমানের বেশিরভাগ জায়গায়।
সকালে কুয়াশার পাশাপাশি রাতের দিকে পারদ পতনও বজায় থাকবে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। ফলে খুব প্রয়োজন ছাড়া এই সময় বয়স্কদের বাইরে বের হতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে বেশিরভাগ মানুষই শীতের আমেজে মজেছেন।
নয়ন ঘোষ