মাধ্যমিক পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের এমন সচেতন মনোভাব রীতিমতো নজর কেড়েছে সকলের। পানাগড়ের এই ঘটনায় বাহবা দিয়েছেন মানুষজন। জানা গিয়েছে, এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে এসে, তাঁকে পরীক্ষার হলে নির্দিষ্ট সময়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন কাঁকসা থানায় কর্মরত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। বুধবার ছিল মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা। এবছর কাঁকসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের সিট পড়েছে পানাগড় বাজার হিন্দি হাই স্কুলে।
advertisement
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনা, মারাত্মক পরিস্থিতি দুই ছাত্রের!
এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ কাঁকসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষার হলে বসতে গিয়ে ছাত্রী লক্ষ্য করেন, ভুলবশত তিনি তাঁর অ্যাডমিট কার্ডটি বাড়িতেই ছেড়ে এসেছেন। পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পারায় কেঁদে ফেলেন ওই ছাত্রী। কান্নাকাটি করতে দেখে ছুটে যান কাঁকসা থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার। জানা গিয়েছে, মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ওই সিভিক ভলান্টিয়ার রাস্তায় দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। দ্রুত ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ছুটে গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন ছাত্রীর কাছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নগ্ন ছবি আদান-প্রদান, নতুন পথে নারী পাচারের ছক ফাঁস!
তারপর এক মুহূর্ত দেরি না করে, ওই ছাত্রীকে নিজের মোটর সাইকেলে চাপিয়ে সোজা রওনা দেয় তাঁর বাড়ি কাঁকসার মোল্লাপাড়ায়। পরীক্ষা শুরুর আনুমানিক ১৫ মিনিট আগে অ্যাডমিট কার্ড-সহ ওই পরীক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেন তিনি। সিভিক ভলান্টিয়ারের এই কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। অন্যদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল। তিনি ওই সিভিক ভলানটিয়ারের সঙ্গে কথা বলে স্কুলে আর কোনও সমস্যা আছে কিনা তাঁর খোঁজ নেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা চলছে। পাশাপাশি সমস্ত পরীক্ষাকেন্দ্রে পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়াররা সর্বদা সতর্ক রয়েছেন। পরীক্ষার্থীদের যে কোনও সমস্যায় তাঁরা পাশে থাকবেন এবং নিজের দায়িত্ব পালন করবেন।
নয়ন ঘোষ