এই গ্রামে একদিনের জন্য যমরাজের পুজো আয়োজন করা হয়। গ্রামের শেষ প্রান্তে হয় পুজো। থাকে নরনারায়ণ সেবার ব্যবস্থাও। পুজো শুরুর ইতিহাস বলতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তিলাবনি গ্রামে অকাল মৃত্যুর কালো ছায়া নেমে এসেছিল। কোনভাবেই সেই মৃত্যু আটকানো যাচ্ছিল না। তখনই গ্রামের মানুষজন যমরাজের পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। গ্রামের শেষ প্রান্তে তৈরি হয় মন্দির।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাংলার পুরনো বাজনা তুলে এনে অভিনব সাজে বিসর্জনের শোভাযাত্রা দুর্গাপুরে!
তারপর থেকে এই গ্রামে বিগত দু'বছর ধরে যমরাজের পুজো শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যমরাজের পুজো শুরু হওয়ার পর থেকে গ্রামে আর অকাল মৃত্যুর ঘটনা সেভাবে হয়নি। মৃত্যুর কালো ছায়া থেকে মুক্তি পাওয়া গিয়েছি অনেকটাই। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, একদিনের জন্য যমরাজের পুজোর আয়োজন করা হয় গ্রামে। ভাইফোঁটার পড়ে যমরাজের পুজোর আয়োজন করা হয়। সেখানে বলিদান প্রথা চালু রয়েছে। এখানে দেওয়া হয় ছাগ বলী।
আরও পড়ুনঃ ছট পুজোর প্রস্তুতি উপলক্ষে চরম ব্যস্ততা জেলায়! ঘাট পরিদর্শনে খোদ মেয়র
তারপর পুজো শেষে থাকে নরনারায়ন সেবা। পাশাপাশি এই পুজো গ্রামের সকল বাসিন্দা মিলেই আয়োজন করেন। সকলে চাঁদা দিয়ে খরচ জোগান পুজোর। তারা জানিয়েছেন, আগামী দিনের যমরাজের পুজো তারা চালিয়ে যেতে চান। যাতে করে যমরাজ শান্ত থাকেন এবং অকাল মৃত্যুর গ্রাস থেকে মুক্ত থাকে তিলাবনী গ্রাম।
Nayan Ghosh