বুদবুদের এই দুর্গাপুজোয় একসময় শঙ্খচিলের ডাকে হত সন্ধিপুজোর বলিদান। দেবীর নবমীর ভোগে থাকত কাঁচকলা দেওয়া শুক্তো আর কচুশাক। গত প্রায় পাঁচ শতক ধরে এই নিয়ম চলে আসছে বুদবুদের খাণ্ডারী গ্রামের চট্টরাজ পরিবারের পুজোয়। আজও চট্টরাজ পরিবারের পুজোর নবমীর ভোগ এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত বিখ্যাত।
আরও পড়ুন: সেতুর দাবিতে জেলাশাসকের দফতরে তুমুল বিক্ষোভ
advertisement
চট্টরাজ পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের সদস্যদের দাবি, তাঁদের পরিবারে দেবী দুর্গার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৫২৬ সালে। সেই হিসেবে চলতি বছর চট্টরাজ পরিবারের দুর্গাপুজো ৪৯৭ বছরে পা দিচ্ছে। অবিভক্ত বর্ধমান জেলার প্রাচীন দুর্গা পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম খান্ডারীর চট্টরাজ পরিবারের পুজো।
পরিবারের এক সদস্য জানান, এই পুজোর প্রতিষ্ঠা করেন বৈদ্যনাথ চট্টরাজ। এই পরিবারে অষ্টমীর বলিতে বিশেষ প্রথা ছিল। এই প্রথা এখন আর মেনে চলা সম্ভব হয় না। কারণ আকাশে এখন আর শঙ্খচিল দেখা যায় না। আগে আকাশে শঙ্খচিলের দেখা পাওয়া যেত। আর সেই শঙ্খচিল ডাকলে তবেই অষ্টমীর মাহেন্দ্রক্ষণে বলি হত। অবশ্য বহু আগেই এই প্রথা উঠে গিয়েছে।
চট্টরাজ পরিবারের দেবীর আরাধনায় ভোগের মধ্যেও বেশ ব্যতিক্রমী ছোঁয়া আছে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বহুকাল আগে কোনও এক অজ্ঞাত ব্যক্তি পুজোর সময় দেবী দুর্গার মন্দিরের সামনে একটি ছাগল, এক কাঁদি কাঁচকলা ও কচু শাক রেখে দিয়ে যান। তারপর চট্টরাজ পরিবারের এক কর্তা দেবীর স্বপ্নাদেশ পান, নবমীর দিন ভোগে কাঁচকলা দিয়ে শুক্তো আর কচু শাক রান্না করে দিতে হবে। সেই মতো নবমীর দিন দেবীর নির্দেশ কাঁচকলা দিয়ে শুক্তো ও কচু শাক ভোগ দেওয়া হয়। সেই প্রথা আজও মেনে চলে চট্টরাজ পরিবার। সিঁদুর খেলার রেওয়াজও রয়েছে এই পরিবারে।
নয়ন ঘোষ