চা, অনেক রকম খেয়েছেন। কিন্তু আজ আপনাদের এমন এক চায়ের সন্ধান দেব, যে চায়ের স্বাদ বহুদিন আপনাদের মুখে লেগে থাকবে। যেটা বানানো হয় কিছুটা অন্যভাবে। অথচ এই চা তৈরি করতে বিশেষ কোনও উপকরণের প্রয়োজন হয় না। দামও সাধারণ এক ভাঁড় চায়ের সমান। আর এমন চায়ের স্বাদ নিতে গেলে, আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে আসানসোলের রবীন্দ্রভবনের সামনে। যেখানে আপনি পেয়ে যাবেন পোড়া দুধের চা। যা বানানো হয় মাটির পাত্রে। দুধ ঘন করে ফুটিয়ে এই চা তৈরি করা হয়। আর এই চায়ের অনবদ্য স্বাদ আপনাকে যে কোনও সময় মোহিত করে তুলবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মন ভাল করা মালদহের ক্ষীরের মনোহরা! কীভাবে তৈরি হয়? জানুন মিষ্টির প্রাচীন ইতিহাস
আসানসোল রবীন্দ্রভবনের সামনে পোড়া দুধের চা খেতে প্রতিদিন বহু মানুষ ভিড় করেন। স্থানীয় মানুষদের কাছে এই চা অত্যন্ত প্রিয়। তবে বাইরে থেকে যারা আসানসোল চত্বরে আসেন, তারা অনেকে এই চায়ের স্বাদ উপভোগ করতে হাজির হয়ে যান রবীন্দ্র ভবনের সামনে। এই চা তৈরি করার পদ্ধতি একটু অন্যরকম।
আরও পড়ুনঃ রেললাইনের কাজের জন্য টানা ১০ দিন বাতিল একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন, কোন কোন ট্রেন বাতিল জানুন
প্রথমে এই চা তৈরির জন্য দুধ মাটির পাত্রে ঘন করে ফুটিয়ে নেওয়া হয়। ফলে ফোটানো দুধের মধ্যে যোগ হয় মাটির পাত্রের এক অন্যরকম সুগন্ধ এবং দুধ ঘন করে ফুটিয়ে তোলায় অন্যরকম স্বাদ। এরপরের পদ্ধতি সাধারণ চা তৈরির মতোই। মাটির পাত্রে পোড়ানো দুধের সঙ্গে যোগ করা হয় চিনি এবং চা পাতা। তারপর এই চা পরিবেশন করা হয় মাটির ভাড়ে।যেখানে বিভিন্ন ফ্লেভার চা বেশ উচ্চ দামে বিক্রি হয়, সেখানে এই পোড়া দুধের চা আপনি পেয়ে যাবেন নামমাত্র খরচে।
চায়ের দোকানগুলিতে রয়েছে ছোট এবং বড়, দুই রকমের ভাড়। ছোট এক ভাড় চায়ের দাম ৫ টাকা এবং বড় এক ভাড় চায়ের দাম ১০ টাকা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, পাঁচ টাকা দামের ভাড়ের চায়ের চাহিদা বেশি। আর যারা একটু বেশি চা খেতে উপভোগ করেন, তারা এই ১০ টাকা ভাড়ের চা খান।
তাহলে আপনিও যদি এই স্বাদ উপভোগ করতে চান, তাহলে একবার ঘুরে আসতে পারেন আসানসোলের রবীন্দ্র ভবনের সামনে থাকা চায়ের দোকানগুলি থেকে। দোকানের সামনে ক্রেতাদের লম্বা লাইন এর জন্য হয়তো আপনাকে কিছুক্ষন অপেক্ষা করতে হবে। তবে এই অপেক্ষার যোগ্য দাম দেবে এক ভাঁড় পোড়া চা।
Nayan Ghosh