এই অনুষ্ঠানে ধর্ম, রাজনীতি ভুলে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছে সকলকে। সেই মঞ্চেই হাজির হয়েছিলেন বিশিষ্ট গায়ক সলমান আলী যার সুফির সুরে মাতোয়ারা হয়েছে শহর দুর্গাপুর। সলমানের গান শুনতে, তাকে চাক্ষুষ করতে বহু সংখ্যক মানুষের ভিড় হয়েছিল সেখানে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় স্তরের একটি টেলিভিশন চ্যানেলের সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রতিযোগী হয়ে শুরু করেছিলেন সলমান আলী। প্রথম দিন থেকে তার গলায় সুফির সুর শুনে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন মানুষজন। ওই সংগীত প্রতিযোগিতার সিজন টেনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সলমান। প্রতিযোগিতায় জয় পাওয়ার পরে আরও এগিয়েছে সালমান আলীর ক্যারিয়ার।
advertisement
ইতিমধ্যেই বলিউডে একাধিক গান গেয়ে ফেলেছেন তিনি। আর সোমবার সন্ধ্যায় সামনে থেকে তার গান শোনার সুযোগ এসেছিল দুর্গাপুরবাসীর কাছে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেন নি শহরের মানুষ। ঈদ মিলান অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পাশাপাশি সলমানের গান শুনতে ভরে উঠেছিল অনুষ্ঠানের ময়দান৷
তবে শুধু সলমান আলীর গান নয়, এই অনুষ্ঠানের মঞ্চ হয়ে উঠেছিল সর্বধর্ম সমন্বয়ের একটি মঞ্চ। সেখানে এক মঞ্চ দেখা গিয়েছে তৃণমূলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে, আবার বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়াকেও। এর মধ্যে দিয়ে উদ্যোক্তারা বার্তা দিতে চেয়েছেন, এই অনুষ্ঠানের কাছে কোনও জাতিগত, ধর্মগত ভেদাভেদ নেই। অন্যদিকে সলমান আলীর গান শুনতে আসার জন্য কোনও টিকিটের ব্যবস্থাও করা হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই সংগীত সন্ধ্যা উপভোগ করতে উপচে পড়েছিল মানুষের ভিড়।
Nayan Ghosh