উল্লেখ্য, গত শনিবার মণিপুরে একটি উগ্রপন্থী সংগঠন হামলা(shyamal das) চালায়। সেখানে সেনাবাহিনীর এক কর্তা, তার স্ত্রী, সন্তানসহ মোট সাতজন শহীদ হয়েছেন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে আরও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যেই ছিলেন শ্যামল দাস।
মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ছিলেন এই জওয়ান(shyamal das)। বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী এবং ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে। বছর ৪6 এই জওয়ান আসাম রাইফেলস এ কর্মরত ছিলেন। কর্তব্যরত অবস্থায় উগ্রপন্থী সংগঠনের হামলায় মৃত্যু হয়েছে তার।গত রবিবারেই কফিনবন্দি শ্যামল দাসের(shyamal das) দেহ নিয়ে আসার কথা ছিল পানাগড়ের বায়ুসেনার বিমানবন্দরে।
advertisement
কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকার দরুন, এবং যান্ত্রিক গোলযোগের জন্য দেহ নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। পরদিন সোমবার আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ার পরে, বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে নিয়ে আসা হয় শহীদ শ্যামল(shyamal das) দাসের দেহ। বায়ুসেনার বিশেষ বিমান থেকে কফিনবন্দি অবস্থায় নামানো হয় শ্যামল দাসকে। বিমান ঘাঁটিতে তাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বায়ু সেনা এবং স্থল সেনার বিভিন্ন কর্মকর্তারা। দেওয়া হয়েছে গান স্যালুট।
তারপরে শহীদ শ্যামল দাসের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার মুর্শিদাবাদের খরগ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে। সেখানে তার স্ত্রী সুপর্ণা দাস এর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে দেহ।
অন্যদিকে, দেশের এই বীর শহীদ জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানাতে বায়ুসেনার বিমান ঘাঁটির বাইরে অনেক মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। শহীদ জওয়ানকে শেষ বারের মত দেখতে, জাতীয় পতাকা নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে বহু মানুষকে। বায়ু সেনার ঘাঁটি থেকে শববাহী গাড়ি দুই নম্বর জাতীয় সড়কে ওঠার সময়, অপেক্ষারত সকলেই জয় হিন্দ ধ্বনি দিয়েছেন।
শহীদের শববাহী গাড়িকে কেন্দ্র করে হয়েছে পুষ্পবৃষ্টি। তারপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে তার মুর্শিদাবাদের বাড়িতে। সেখানেও তাকে গান স্যালুট দিয়ে শেষবারের মত সম্মান জানানো হবে। তারপরেই মনিপুরের সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহত রাইফেল ম্যান শ্যামল দাসের (shyamal das) শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
Nayan Ghosh