আরও পড়ুন: সেতুর নীচে মাটি কাটতে গিয়ে ভয়ঙ্কর কাণ্ড ! জেসিবির ফলায় উঠে এল মুণ্ডহীন দেহ, চাঞ্চল্য মালদহে
যদিও এই সময় অবসর নেওয়ার ইচ্ছা থাকে না মৃৎ শিল্পীদেরও। কারণ এই সময় যদি তারা ভালো করে কাজ করতে পারেন, তাহলে তাদের সারা বছর কিছুটা ভাল চলে। তাই এই সময়টা ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই কাটান তাঁরা। যদিও কিছু সমস্যা রয়ে গিয়েছে। গত কয়েক বছর ধরেই সেই সমস্যা নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। তবে করোনাকালের পর ফের কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে বাজার। তাই এবার আশার আলো দেখছেন মৃৎশিল্পীরা।
advertisement
তবে সব থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বলা যায়, আসানসোলের মহিশীলার এই কুমোরপাড়া থেকে মূর্তি চলে যায় ভিন রাজ্যে। অর্থাৎ প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে পুজো হয় বাংলার তৈরি কালী মূর্তি। যার ফলে ব্যাপক চাপ থাকে মৃৎশিল্পীদের মধ্যে। এই সময় তাঁদের অবসর নেওয়ার সময় থাকে না। কারণ খুব কম সময়ের মধ্যে অর্ডার পাওয়া মূর্তিগুলি তৈরি করতে হয়।
এই বিষয়ে স্থানীয় প্রবীণ এক মৃৎশিল্পী জানিয়েছেন, কালীপুজোর অনেক অর্ডার দুর্গাপুজোর আগেই তাঁরা পেয়ে যান। কিন্তু দুর্গাপুজোর সময় ব্যাপক চাপ থাকে। তাই সেই সময় মূর্তিগুলি তৈরি করতে পারেন না। দুর্গাপুজো শেষ হলেই চলে আসে লক্ষ্মীপুজোর। ফলে তখনও হয় না। লক্ষ্মীপুজো শেষ হলে মাত্র ১৪ দিনের মাথায় সমস্ত মূর্তিগুলি তৈরি করতে হয়। যার ফলে তাঁদের হাতে খুব কম সময় থাকে। আর সেই কম সময়ের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা তৈরি করতে হয়। যে কারণে এখন চরম ব্যস্ততা আসানসলের মহিশীলার কুমোরটুলিতে। যদিও মূর্তির দাম বেশি বৃদ্ধি না পাওয়ায় কিছুটা হতাশা রয়েছে তাঁদের মধ্যে।
নয়ন ঘোষ