TRENDING:

West Bardhaman News- করোনার বাড়বাড়ন্ত ফিকে করেছে ভোটযুদ্ধের গরম হাওয়া। আসানসোলে সে অর্থে দেখা নেই প্রচার যুদ্ধের।

Last Updated:

নতুন করে ব্যাপক হারে বেড়ে চলা সংক্রমনের জেরে কোথাও যেন পুরযুদ্ধের লড়াইয়ের আবহ অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পশ্চিম বর্ধমান- মেরেকেটে আর সপ্তাহ তিনেকও বাকি নেই। তারপরেই আসানসোলে পুর নির্বাচন (West Bardhaman News)। আগামী ২২ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন ঘোষণা করেছে কমিশন। ২৫ জানুয়ারি হবে ভোটের ফল ঘোষণা। ইতিমধ্যেই সমস্ত রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। শেষ হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা করার দিন। বেশ কিছু প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহারও করেছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু রাজনৈতিক দলবদল-এর ঘটনা দেখেছে জেলা। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়ে, ঘাসফুলে যোগদানের ছবিও দেখা গিয়েছে।
জনাকয়েক সমর্থকের সঙ্গে প্রচার  তৃণমূল প্রার্থী দীপা চক্রবর্তীর।
জনাকয়েক সমর্থকের সঙ্গে প্রচার তৃণমূল প্রার্থী দীপা চক্রবর্তীর।
advertisement

তবে বর্তমানে ভোটের গরম হওয়া অনেকটাই ফিকে (West Bardhaman News)। সৌজন্যে অনুজীব করোনা। নতুন করে ব্যাপক হারে বেড়ে চলা সংক্রমণের জেরে কোথাও যেন পুরযুদ্ধের লড়াইয়ের আবহ অনেকটাই ফিকে হয়ে গিয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি আদালত। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার পর যেভাবে রাজনৈতিক ময়দান সরগরম হয়ে উঠেছিল, তা এই মুহূর্তে অনেকটাই ফিকে।

advertisement

ভোটের দামামা বাজলেই প্রচারের তোড়জোড় শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলি। রাস্তাঘাটে বিভিন্ন দলীয় পতাকা নিয়ে মিছিল, সমাবেশ বলে দেয় ভোট এসে গিয়েছে (West Bardhaman News)। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালানো হয়। তারকাদের দিয়েও করানো হয় ভোটের প্রচার। জনসমর্থন আদায়ের জন্য সমস্ত দলগুলি নিজেদের মতো করে রণকৌশল তৈরি করে। আসানসোল পুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে, তা হয়েছিল বটে! কিন্তু বাধ সেধেছে করোনা ভাইরাস। আসানসোলের মাটিতে পৌর নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্রচার যুদ্ধ এখনও পর্যন্ত সে অর্থে দেখা যায়নি।

advertisement

উল্লেখ্য, প্রচারের ক্ষেত্রে একাধিক বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (West Bardhaman News)। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, তার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে। একাধিক জমায়েতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বাইক মিছিল করার ক্ষেত্রেও। কোন কনফারেন্স হলে সমাবেশ হলে, সেখানে ২০০ জনের বেশি মানুষের উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। রাজ্যের জারি করা নতুন বিধিনিষেধের বিজ্ঞপ্তি মেনে সংক্রমণ রুখতে, নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একাধিক কোপ পড়েছে। প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট লোকসংখ্যা ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।

advertisement

View More

স্বাভাবিকভাবে পুর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার যুদ্ধের গরম হওয়া থেকে এখনও সিংহভাগ বঞ্চিত রয়েছে আসানসোল (West Bardhaman News)। তবে কমিশনের জারি করা বিধিনিষেধ মেনে প্রচার হচ্ছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে। তবে তা ভোটযুদ্ধের হাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। অন্যদিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক দলগুলির এই প্রকার সাবধানতা অবলম্বন এর ফলে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু নির্বাচনের আগে মন খুলে প্রচার করতে না পারার জন্য আক্ষেপ প্রকাশ করছেন প্রার্থীরা। জনসমর্থন আদায়ের অন্য পথ খুঁজছেন সকলেই। অনেকেই এই ক্ষেত্রে ভরসা রাখছেন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

Nayan Ghosh

বাংলা খবর/ খবর/পশ্চিম বর্ধমান/
West Bardhaman News- করোনার বাড়বাড়ন্ত ফিকে করেছে ভোটযুদ্ধের গরম হাওয়া। আসানসোলে সে অর্থে দেখা নেই প্রচার যুদ্ধের।
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল