পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ফিড সরাসরি গিয়ে পৌঁছেছে পর্ষদের কাছে। পরীক্ষা উপলক্ষে রাজ্যের ৬ টি জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। যে কোনওরকম অশান্তি এড়াতে প্রচুর পরিমাণে পুলিশ কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিল পরীক্ষা কেন্দ্রগুলির সামনে। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া আটকাতে বিভিন্ন রকম বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল। পরীক্ষার্থীদের এক ঘণ্টা আগে ঢোকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষাকেন্দ্রে। যদিও পরে সেই সময় আরও ৪৫ মিনিট কমানো হয়। উল্লেখ্য, এদিন দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয়েছিল টেট পরীক্ষা। শেষ হয়েছে দুপুর ২:৩০ নাগাদ। সমস্ত পরীক্ষার্থীদের ১১ টার মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন - টেট পরীক্ষা দিতে এসে এ কী কাণ্ড! বিবাহিত মেয়েদের শাঁখা-পলা খুলিয়ে দেওয়া হল ‘এখানে’
এদিন টেট পরীক্ষা উপলক্ষে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল থেকে দুর্গাপুর, বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে পরীক্ষার্থীদের ব্যস্ততা। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অভিভাবকদেরও। সকাল সকাল সবাই পরীক্ষা কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। স্টেশনগুলিতে যেমনভাবে দেখা গিয়েছে ভিড়, তেমনভাবেই পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অনেক অভিভাবকদের অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে। আসানসোলের বেশ কয়েকটি কলেজে টেট পরীক্ষার সিট পড়েছিল। টেট পরীক্ষার সিট পড়েছিল দুর্গাপুরের বেশ কয়েকটি কলেজেও।
আরও পড়ুন - পর্তুগালের কোচকে এক হাত নিলেন জর্জিনা, সোশ্যাল মিডিয়ায় রোনাল্ডোর সমর্থণে গলা ফাটালেন
যদিও এদিন আসানসোলের একজন পরীক্ষার্থী যানজটে রাস্তায় আটকে পড়েন। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে গিয়ে পৌঁছন। যে কারণে স্বাভাবিকভাবে তিনি আর পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিতর যেতে পারেন নি। দেওয়া হয়নি পরীক্ষা। ফলে রীতিমতো ভেঙে পড়েছে ওই পরীক্ষার্থী। কারণ দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রাইমারি টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফলে ওই পরীক্ষার্থী চিন্তিত, আবার কবে টেট পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ আসবে। অন্যদিকে দুর্গাপুরে এক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসে মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন।
অন্যদিকে সেখানে কুইক রেসপন্স টিম পৌছতে বেশ কিছুক্ষণ বিলম্ব হয়। তবে দু-একটি ছোটখাটো ঘটনা বাদ দিলে, মোটের উপর শান্তিপূর্ণভাবে জেলায় টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ফলাফল সময় বলবে। তবে পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পর্ষদ এবং প্রশাসন যে অনেকখানি সফল, তা বলাই যায়।
Nayan Ghosh