রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার মতো পশ্চিম বর্ধমান জেলার একাধিক কলেজে সিট পড়েছিল টেট পরীক্ষার্থীদের। আসানসোলের মুর্গাসলের বাসিন্দা এক পরীক্ষার্থীর টেট পরীক্ষার সিট পড়েছিল দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজে। কিন্তু তার রয়েছে সদ্যজাত একটি সন্তান। বয়স দুই মাস। ফলে সদ্যোজাত এই শিশুর কাছে আড়াই ঘণ্টার দীর্ঘ সময় মা ছেড়ে থাকা রীতিমতো কষ্টকর। একইভাবে তা কষ্টকর মায়ের কাছেও। কারণ দুই মাসের এই শিশুর একমাত্র খাদ্য স্তন্যপান। তাই পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে সদ্যোজাত শিশুকে স্তন্যপান করিয়ে টেট পরীক্ষায় বসে ছিলেন ওই পরীক্ষার্থী।
advertisement
আরও পড়ুন - পর্তুগালের কোচকে এক হাত নিলেন জর্জিনা, সোশ্যাল মিডিয়ায় রোনাল্ডোর সমর্থণে গলা ফাটালেন
এমনিতেই দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর রাজ্যে টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট পরীক্ষা হয়নি। তার মধ্যে বেশ কয়েক মাস আগে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে উঠে এসেছিল শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির খবর। যা নিয়ে রাজ্যের অনেক বেকার যুবক-যুবতী নিরাশ হয়েছিলেন। তবে এই টেট পরীক্ষায়, পরীক্ষার্থীদের আশা রয়েছে, যখন সুযোগ এসেছে তখন সেই সুযোগে কোনও মতেই হাতছাড়া করলে চলবে না। সেই একই চিন্তাভাবনা ছিল সদ্যজাত ওই সন্তানের মায়েরও। তাই দু মাসের শিশু সন্তানকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে।
দুপুর বারোটা থেকে শুরু হয়েছিল পরীক্ষা। পরীক্ষা বলেছে আড়াইটা পর্যন্ত। তবে পরীক্ষা শুরুর এক ঘন্টা আগে হলে ঢোকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু দু মাসের সদ্যজাতের কাছে ওই দীর্ঘ সময় মা ছাড়া থাকা কার্যত অসম্ভব ছিল। সেজন্যই পরীক্ষার্থী ওই মাকে বিশেষ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, শিশুকে স্তন্যপান করিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করার জন্য। যা স্বাভাবিকভাবেই নজর কেড়েছে সবার। যেখানে দেখা গিয়েছে একজন মায়ের মাতৃত্বের দায়িত্ব, আবার কর্মজীবনে প্রবেশ করার তাগিদ।
Nayan Ghosh