বিশেষ করে যে সমস্ত জায়গাগুলি থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে, বা আশঙ্কা রয়েছে, সেই সমস্ত জায়গায় এই বিষয়ে বিশেষ নজরদারি চলবে। কিন্তু হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? উল্লেখ্য আসানসোল এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বেশ কিছু আক্রান্তের সংখ্যাও পাওয়া গিয়েছে। তারপরেই আসানসোল পুরনিগম এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর নড়েচড়ে বসেছে। পুরনিগম সাফ সাফাইয়ের দিকে বিশেষভাবে নজর দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফোনে বিশ্বের প্রথম মেসেজ কী ছিল, কে কাকে পাঠিয়েছিল? জানলে অবাক হয়ে যাবেন!
অন্যদিকে, জেলা স্বাস্থ্য দফতর ডেঙ্গি প্রতিরোধ করতে নানা রকম সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প করা হচ্ছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, রক্ত পরীক্ষায় অনিহা দেখাচ্ছেন মানুষ। জ্বরে আক্রান্ত মানুষজন অনেক ক্ষেত্রেই এমন করছেন। ফলে ডেঙ্গু জ্বর নাকি সাধারণ জ্বর, তা বুঝতে দেরি হয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের। অন্যদিকে, অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে জ্বর কমিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। তাই বেশি মাত্রায় কেউ প্যারাসিটামল খেলে তাঁকে যাতে সহজে শনাক্ত করা যায়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কলকাতা নয়, ভারতের সবচেয়ে সস্তা শহর এটি! সবচেয়ে দামি কোনটি?
এই বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মহম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের সঙ্গে জেলার ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে ডেঙ্গি প্রতিরোধ নিয়ে নানা রকম আলোচনা হয়েছে। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ যে সমস্ত জায়গায় বেশি মাত্রায় প্যারাসিটামল বিক্রি হচ্ছে বা ডেঙ্গির আশঙ্কা রয়েছে, সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্যারাসিটামল বিক্রি সংক্রান্ত যে তথ্য ফার্মেসি মালিক এবং কর্মচারীরা সংগ্রহ করবেন, তা স্থানীয় কাউন্সিলরদের জানাতেও বলা হয়েছে। যাতে করে পুরনিগম এবং জেলা স্বাস্থ্য দফতর প্রয়োজন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারে।
Nayan Ghosh