পাণ্ডবেশ্বর অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে নতুন এই খোলা মুখ খনির হাত ধরে। তবে প্রদীপের নিচে যেমন অন্ধকার থাকে, এখানেও রয়েছে অন্ধকারের কালো মেঘ।
আরও পড়ুন: দ্বীপের মতো অবস্থান ছিল গ্রামের! অবশেষে শুরু হল সেতু নির্মাণের কাজ
নতুন খোলা মুখ খনির জন্য যে জায়গাগুলি ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে কিছু পাট্টা দেওয়া জমি। নতুন এই খনির ফলে নিজেদের ভূমি হারিয়েছেন অনেকে। যদিও যে সমস্ত পাত্তা দেওয়া জমিগুলির অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তাদের পরিবারের একজনের করে চাকরির দাবি থাকলেও, সেই দাবি মানতে নারাজ ইস্টার্ন কোলফিল্ড লিমিটেড। স্বভাবতই নতুন খনির জন্য যেমন রয়েছে কর্মসংস্থানের আশা, তেমনভাবেই ভূমিহীন হয়ে আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।
advertisement
খোট্টাডিহি অঞ্চলে নতুন খনির উদ্বোধনে গিয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তার কথাতে উঠে এসেছে ভূমিহীন মানুষদের কথা। তিনি ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, যেন তারা মানবিকতার দিক থেকে ওই ভূমিহীন মানুষগুলির কথা ভাবেন। একইসঙ্গে পাট্টা দেওয়া জমিগুলি অধিগ্রহণের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিএল নিয়েছে, তার বিরোধিতাও করেছেন বিধায়ক।
আরও পড়ুন: অদ্ভুত ছবি! রাস্তায় দাঁড়িয়ে কী করছে এই ছাত্রী! কুর্নিশ জানাল সকলেই
আগামী দিনে তাঁরা এ বিষয়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই খোট্টাডিটি অঞ্চলে নতুন খোলা মুখ খনি উদ্বোধনে যেমন আশার আলো রয়েছে, তেমন ভাবেই রয়েছে আশঙ্কার অন্ধকার মেঘও।
নয়ন ঘোষ