এখানে দেবী শ্মশান কালী রূপে বিরাজমান থাকলেও, দেবী পূজিত হন বৈষ্ণব মতে। এখানে ছাগল বলি প্রথা নিষিদ্ধ। তবে জানা যায়, শ্মশানে শব দেহ না আসা পর্যন্ত দেবীর ভোগ নিবেদন করা হয় না। আবার মন্দির চত্বরেই রয়েছে পঞ্চমুন্ডির আসন। যা মন্দির কমিটির লোকজন রেলিং দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। তারা দাবি করেন, যে কোন সাধারণ মানুষ এই আসনে বসলে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতে পারেন।
advertisement
আরও পড়ুন: 'মিসেস ইন্ডিয়া আইকন ২০২২' খেতাব জিতলেন অন্ডালের গৃহবধূ সুস্মিতা ! জানুন
মন্দির কমিটির লোকজন জানিয়েছেন, প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন এই কালী মন্দির। কালীপুজোয় এই মন্দিরে হয় বাৎসরিক উৎসব। দীপান্বিতা অমাবস্যয় হয় বিশেষ পুজো। শব দেহ না আসা পর্যন্ত এই মন্দিরে ভোগ নিবেদন করা হয় না। কিন্তু সময়ের আগে প্রতিদিন শব দেহ চলে আসে। আর এই মন্দিরে ছাগল বলি প্রথা বন্ধ রয়েছে। কেউ মানত করে মন্দিরে ছাগল উৎসর্গ করলে, ছাগলটিকে মন্দির চত্বরেই ছেড়ে রাখা হয়। ছাগল গুলি মারা গেলে তাদের সমাধিস্থ করা হয়। আর মন্দিরে থাকা পঞ্চমুন্ডির আসন রেলিং এর ঘেরাটপে থাকে। যেখানে সর্বদা নজর রাখেন মন্দির কমিটির সদস্যরা। তারা বলেন, তন্ত্র-মন্ত্রে অপুট কেউ এই আসনে বসলে, মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবেন। তাই এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাই কালী পুজোর সময় চাইলে একদিন ঘুরে যেতে পারেন রহস্যময় পরিবেশে ঘিরে থাকা বীরভানপুর মহাশ্মশানের কালী মন্দির থেকে। যেখানে বর্তমানে চলছে সৌন্দর্যায়নের কাজ।
Nayan Ghosh