২০০০ সাল থেকেই বরাকর ফাঁড়িতে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। থানার অধিকারিকদের বদলি হয়েছে অনেক বার। কিন্তু পুজো চলে আসছে নিয়ম করেই। প্রথম থেকেই এখানে পিতলের তৈরি দুর্গা মূর্তিতে পুজো হয়। এই মূর্তি সারা বছরই থাকে থানায়। হয় নিত্য পুজো। তবে বিগত চার-পাঁচ বছর ধরে পিতলের মূর্তির সঙ্গে মাটির প্রতিমা নিয়ে আসা হচ্ছে। বর্তমানে থানার এই পুজোর আনন্দে হাত মিলিয়েছেন স্থানীয় অনেকেও।
advertisement
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার প্রাচীন হিন্দু মন্দির উঠে এসেছে দুর্গাপুরে
উল্লেখ্য, রাজ্যের বেশিরভাগ থানাতেই কালীপুজো হতে দেখা যায়। দীপাবলির দিন কালী পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে থানাগুলি। বরাকর ফাঁড়িতেও কালীপুজো হয়। কিন্তু তার আগে হয় দুর্গা পুজো। ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ কর্মীরা দুর্গা পুজোর আনন্দে মাতওয়ারা হয়ে ওঠেন পুজোর কয়েকটা দিন। পুলিশ কর্মীরা বলছেন, পুজোর সময় কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে। তবে যেহেতু থানাতেই পুজোর আয়োজন করা হয়, তাই কাজের সঙ্গে সঙ্গে পুজোর আনন্দ উপভোগ করা যায়।
আরও পড়ুন: দোরগোড়ায় দুর্গোৎসব, আজই জেনে নিন মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র
সাধারণভাবে দুর্গাপুজোতে যে সমস্ত নিয়ম মেনে চলা হয়, থানার দুর্গা পুজোতেও সেই সমস্ত নিয়মগুলি মানা হয় কঠোরভাবে। সপ্তমীতে আসে নবপত্রিকা। অষ্টমীর সন্ধিপুজো হয় নিয়ম মেনে। নবমীতে হয় মহাযজ্ঞ। তারপর দশমীতে দেবীর ঘট নিরঞ্জন। বর্তমানে থানার এই পুজোতে হাত মেলান স্থানীয় মানুষজনও। নবমী এবং দশমীতে থাকে মহাভোজের আয়োজন।
নয়ন ঘোষ