আর মানুষের এই গরহাজির হওয়ার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হলেন বিভিন্ন হকাররা (West Bardhaman News)। জেলা জুড়ে বিভিন্ন নদীর ঘাট গুলিতে গিয়ে সকাল থেকেই হাজির হয়েছিলেন তাঁরা। আশা করেছিলেন মানুষজন আসবেন। কিন্তু প্রশাসন এর বিধি নিষেধ এবং ভাইরাসের দাপট মানুষজনকে মকর সংক্রান্তির দিনেও ঘরবন্দি করে রাখল। তার ফলে জেলার বিভিন্ন জায়গার হকারদের বেচাকেনা মুখ থুবড়ে পড়ল। দিনের শেষে কার্যত ফাঁকা হাতে বাড়ি ফিরতে হল তাদের।
advertisement
আসানসোল, দুর্গাপুর, রানীগঞ্জ সহ জেলার দামোদরের বিভিন্ন ঘাটে প্রতিবছর বহু মানুষ মকর সংক্রান্তির স্নান করতে আসেন। তবে এই বছর ছবিটা ছিল অন্যরকম। কিছু মানুষ গিয়েছিলেন ঠিকই। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় তা একেবারেই নগণ্য (West Bardhaman News)। তাছাড়াও যারা গিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব পুজোপাঠ, স্নান সেরে বাড়ি ফিরে এসেছেন। ফলে মকর সংক্রান্তিতে দামোদরের ঘাটগুলি কার্যত ফাঁকা থেকে গিয়েছে।
প্রতিবছর মকর সংক্রান্তির দিন স্নানের জন্য আসা মানুষদের ভিড় থেকে উপার্জনের আশায় বহু হকার ভিড় করেন। তারা নানান খাদ্য, খেলনা সামগ্রী নিয়ে দামোদর নদের চরে পসরা নিয়ে বসেন। তবে এই বছর সমস্ত ঘাটে মানুষের ভীড় না থাকার জন্য ক্ষতির মুখে পড়েছেন হকাররা। তারা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর যে পরিমাণে ভিড় হয় এই বছর তেমন ভিড় হয়নি। যে পরিমাণে তারা লাভের আশা করেছিলেন, তা না হওয়ায় অগত্যা বাড়ি ফিরতে হয় অনেককে (West Bardhaman News)।
মকর স্নান করতে আসা মানুষেরা জানিয়েছেন, অন্যান্য বছর যে পরিমাণ ভিড় হয়, করোনার জন্য এবছর একদম নেই বললেই চলে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাঁকসা থানার পুলিশের কর্মীরা সমগ্র ঘাটে কড়া নজরদারি রেখেছিলেন। সামাজিক বিধি-নিষেধ মানার দিকে কড়া নজর রাখা হয়েছিল।
অন্যদিকে, দুর্গাপুর দামোদর নদের চরে শুক্রবার সকাল থেকে অনেকে মকর স্নানের জন্য এসেছিলেন। তবে অন্যান্য বছর যে পরিমাণে ভিড় জমে, এ বছর তেমনভাবে সাধারণ মানুষের ভিড় চোখে পড়েনি। দুর্গাপুর ব্যারেজের ঘাটগুলিতে বাঁকুড়া জেলা পুলিশের কর্মীরা নজরদারি চালিয়েছেন।
Nayan Ghosh