কলকাতার ওই স্কুলের প্রায় ১৪৮ জন পড়ুয়া অংশগ্রহণ করেছেন এখানে। পাশাপাশি সেখানে হাজির হয়েছেন অভিভাবকরাও। এই নেচার ক্যাম্প থেকে পড়ুয়াদের ইতিহাস, ভূগোল, জীববৈচিত্র্য, জীবন বিজ্ঞান সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে নানান উন্নতমানের টেলিস্কোপ সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি। জঙ্গলের পশু-পাখি, পোকামাকড় সহ জীববৈচিত্র সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইতিহাসের নিদর্শন নিয়ে ধারণা দেওয়া হয়েছে তাদের। বোঝানো হয়েছে অজয় নদীর গতিবিধি। পাশাপাশি এই নেচার ক্যাম্পে নতুন বছরে পিকনিকের মজাও অনুভব করেছে পড়ুয়া এবং অভিভাবকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পরিযায়ী পাখিদের বাঁচাতে বিশেষ বন্দুকধারী রক্ষী নিয়োগ বন দফতরের
বর্তমানে বিভিন্ন পড়ুয়াদের জন্য প্রকৃতির খোলা আকাশের নিচে এই নেচার ক্যাম্পগুলির আয়োজন করা হয়। চলতি বছরে গড় জঙ্গলের মধ্যে এই শান্ত নিরিবিলি জায়গায় আয়োজিত হয়েছে নেচার ক্যাম্প। সেখানে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরাও হাজির হয়েছেন। হাজির হয়েছেন কলকাতার নামী স্কুলের পড়ুয়া এবং শিক্ষকরাও। এই ক্যাম্পে গড় জঙ্গলের জীব বৈচিত্র নিয়েও শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে জোর দেওয়া হয়েছিল পাখির ওপর। কারণ গড় জঙ্গলে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বসবাস। অন্যদিকে গড় জঙ্গলে ময়ূর সহ অন্যান্য পশু পাখিও রয়েছে। রয়েছে নানান কীটপতঙ্গ। সমস্ত কিছু সম্পর্কে পড়ুয়াদের ধারণা দেওয়া হয়েছে।
গড় জঙ্গল সংলগ্ন দেউল এবং আশপাশের এলাকাগুলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ইতিহাসের বহু নিদর্শন। সেগুলি সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। ক্যাম্পের একদম সামনে দিয়ে বয়ে গিয়েছে অজয় নদী। অজয় নদের গতিবিধি, উৎস, মোহনা সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের। একইসঙ্গে জঙ্গলের মাঝে অবস্থিত এই নেচার ক্যাম্প থেকে খোলা আকাশ দেখানো হয়েছে পড়ুয়াদের। রাতের আকাশ এবং সেখানে বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় ছবি টেলিস্কোপের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে পড়ুয়াদের সামনে। এদিকে জঙ্গলের মাঝে আয়োজিত এই নেচার ক্যাম্পে বনভোজনের আনন্দও উপভোগ করেছে পড়ুয়ারা।
নয়ন ঘোষ