কৃষ্ণনগর থেকে তিনি সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছেন। যাবেন কোয়েম্বাটুর। মাঝখানে তিনি ঘুরে দেখবেন বেশ কয়েকটি শিব তীর্থ। তালিকায় রয়েছে কাশী বিশ্বনাথ, কেদারনাথ, সোমনাথ মন্দির এবং মহাকালেশ্বর মন্দির। তাঁর যাত্রা শেষ হবে কোয়েম্বাটোরের আদিযোগীর কাছে। আর যাত্রা পথে তিনি দিয়ে যাবেন ভূমি রক্ষার বার্তা।
আদতে কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা পলাশ পাইক। তিনি পেশায় একজন অঙ্কন শিল্পী। তবে ভারতের মতো দেশে কৃষি জমিগুলির অবস্থা খারাপ হচ্ছে। তাই সেগুলিকে বাঁচাতে তিনি নিয়েছেন এমন অভিনব উদ্যোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: ডিপার্টমেন্টে তিনদিনই হাসিখুশি ছিলেন স্বপ্নদীপ, তুলেছিলেন সেলফি, বলছেন অধ্যাপকরা
পলাশ জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কৃষি জমিগুলির অনেকাংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আবার বাড়তি ফসলের জন্য রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হচ্ছে। তাতে মাটির ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। উৎপাদিত ফসলগুলির গুণগতমানও কমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে যদি জৈব সার ব্যবহার করা হয়, তাহলে মাটির উর্বরতা নষ্ট হবে না। আবার ফসলের গুণমানও নষ্ট হবে না। তাই মানুষকে এই বিষয়ে সচেতন করতে কার্যত দেশজোড়া ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি।
এই যাত্রায় প্রথমেই তিনি যাবেন কাশী বিশ্বনাথ। সেখানে দর্শন শেষে তিনি চলে যাবেন কেদারনাথ। তারপর সেখান থেকে পৌঁছবেন সোমনাথ মন্দিরে। সেখানে জ্যোতির্লিঙ্গের দর্শন করে তিনি চলে যাবেন মহাকালের দর্শনে। এরপর যাত্রা শেষ করবেন কোয়েম্বাটোরে।
যাত্রাপথে বেরিয়ে পরিশ্রম হলেও বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন পলাশ। রাস্তাঘাটে মানুষজন তাঁকে দেখে এগিয়ে আসছেন। তাঁর কথা শুনছেন। আবার তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন। খাবার খাওয়াতে চাইছেন। পলাশ আরও জানিয়েছেন, রাস্তায় বেরিয়ে সব থেকে বেশি সহযোগিতা পাচ্ছেন ট্রাফিক কর্মীদের। ট্রাফিক কর্মীরা সাইকেল যাত্রায় তাঁকে ব্যাপকভাবে সহযোগিতা করছেন বলে জানিয়েছেন পলাশ। অন্যদিকে তাঁর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন যাত্রাপথের বিভিন্ন মানুষ। কৃষ্ণনগর থেকে যাত্রা শুরু করে তিনি আসানসোলের উপর দিয়ে পৌঁছেছেন ঝাড়খণ্ডে। আপাতত তাঁর লক্ষ্য কাশী বিশ্বনাথ। তারপর ধীরে ধীরে তিনি এগিয়ে যাবেন তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে।
Nayan Ghosh