দুর্গাপুর পুর এলাকায় সেই সংখ্যা মাত্র ৩। বাকি আক্রান্তদের খোঁজ মিলেছে জেলার অন্য ব্লক এলাকায়। ব্লকের কোথাও ২ জন, কোথাও ৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ইউনুস খান। ডেঙ্গু মোকাবিলায় কি করণীয়, তা বলতে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব রাজ্যের সব জেলার জেলাশাসক ও CMOH- দের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ একটি বৈঠক করেন।
advertisement
সেই বৈঠকে সিএমওএইচ ছাড়াও ছিলেন আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক, আসানসোল জেলা, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, সব ব্লকের বিডিও ও বিএমওএইচ, রেল এবং সেলের আধিকারিকরা। এই বিষয়ে জেলা স্বাস্থ্য অধিকারিক বলেছেন, মুলত বিভিন্ন জায়গায় জমা জল থেকেই এই ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। একটা এলাকায় একসঙ্গে অনেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন, এমনটা নয়। অনেক এলাকায় এক বা দুজন করে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে জমজমাট অনুষ্ঠান কাঁকসায়
অনেক বাড়িতে টব, খালি পাত্র, দোকানে দোকানে জমা জল, রাস্তার টায়ারের দোকানে জল জমে থাকছে। সেই জল থেকেই মশার জন্ম হচ্ছে। পাশাপাশি অনেক এলাকায় নালা - নর্দমা ঠিক মতো পরিষ্কার না হওয়ায় সেখানে জল জমে থাকছে। স্বাস্থ্য কর্মীদের এলাকায় এলাকায় গিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কি কি করতে হবে, তার জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও একবার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাছাড়াও, পুরনিগম কর্তৃপক্ষকে সাফাইয়ে জোর দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিনামূল্যে ডায়ালিসিস পরিষেবা দুর্গাপুরে, উদ্বোধন পঞ্চায়েত মন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা ঠিক মতো এলাকা পরিদর্শন করছেন কিনা তা দেখার জন্য নজরদারি বা সার্ভিলেন্স টিম তৈরি করা হয়েছে। টিমের সদস্যরা পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাবেন। এই বিষয়ে আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গাঙ্গুলি বলেছেন, ৭ নং বোরো এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্তর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও অন্য ওয়ার্ডে কয়েকজন করে পাওয়া গিয়েছে। আমরা নজরদারি চালাচ্ছি। সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চিন্তা রয়েছে জেলা প্রশাসন এবং শহরবাসী।
Nayan Ghosh