চিকিৎসকরা বলছেন ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এর মত খনিজ পদার্থ গুলি বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে এই ধরনের খনিজ পদার্থগুলি শরীরকে ফিরিয়ে দিতে হবে। তার জন্য জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে ইলেকট্রোলাইট। পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর একটি যৌগের নাম ইলেক্ট্রোলাইট। যা জলের সঙ্গে খুব সহজে গুলে যায়। এই যৌগটি জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে শরীর সেখান থেকে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম সংগ্রহ করবে। ফলে শরীর ফিট এবং সুস্থ থাকবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
advertisement
আরও পড়ুন - Knowledge Story: সাপ কি বদলা নেয় ৯০ শতাংশ মানুষকে জিজ্ঞাসা করলে ঠিক উত্তর দিতে পারবে না
আরও দেখুন
পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রাকৃতিকভাবে ইলেকট্রোলাইটের সবথেকে বড় উৎস হল ডাবের জল। যে কারণে গ্রীষ্মকালে ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডাবের জল প্রাকৃতিকভাবে ইলেক্ট্রোলাইটের এর কাজ করে। তাই এই গরমের সময় নিয়মিত ডাবের জল খেতে পারলে শরীর অনেক সুস্থ এবং ফিট থাকবে। বিশেষ করে বেশি পরিশ্রমের কাজ এবং ব্যায়াম করার পর ডাবের জল খেতে পারলে শরীরে খনিজ পদার্থ গুলির অভাব হবে না।
হাতের কাছে ডাবের জল না পেলে চোখ চলে যেতে পারেন ওষুধের দোকানে। ওষুধের দোকানে বিভিন্ন স্বাদের ইলেকট্রোলাইট পাওয়া যায়। যদিও অরেঞ্জ ফ্লেভারের ইলেকট্রোলাইট বাজারে বেশি প্রচলিত। তবে আপনার পছন্দমত যে কোন স্বাদের ইলেকট্রোলাইট যৌগের প্যাকেট কিনে জলের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। তারপর ওই জল খান। শরীরে দুর্বলতা ভাব কাটবে। ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যাওয়া খনিজ পদার্থ গুলির অভাব মিটবে।
এছাড়াও বাড়িতে মানিয়ে নিতে পারেন ইলেক্ট্রোলাইট। যেভাবে ওআরএসের অভাবে বাড়িতে নুন চিনির জল তৈরি করা হয়, তেমনভাবে বাড়িতে কয়েকটি দ্রব্যের মিশ্রণে তৈরি করতে পারেন ইলেকট্রোলাইট। এর জন্য জল, কমলা লেবুর রস, মধু এবং নুন পরিমাণ মতো মিশিয়ে বারবার খেতে পারলে ইলেকট্রোলাইটের কাজ পাওয়া যাবে।
Nayan Ghosh