জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেলা হাসপাতালে গড়ে উঠবে একটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক(Critical Care)। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লকের জন্য চারতলা বিশিষ্ট একটি ভবন গড়ে উঠবে। মরণাপন্ন রোগীদের সুলভ মূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে এই ব্লকে। অত্যাধুনিক মানের তৈরি করা হবে এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট এই ব্লক গড়ে উঠবে। যেখানে আইসিইউ, এইচডিইউ, নিউবর্ন ক্রিটিক্যাল কেয়ার, মেটারনিটি ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থাকবে। পাশাপাশি থাকবে সিটি স্ক্যানের সুবিধা যুক্ত রেডিওলজি বিভাগ। থাকবে অপারেশন থিয়েটারও।
advertisement
জানা গিয়েছে, অত্যাধুনিক মানের এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক তৈরির জন্য স্বাস্থ্য দফতরের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছে(Asansol Hospital)। বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থ। ফলে এই ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক তৈরি হয়ে গেলে, জেলাবাসীর ভরসা আসানসোল হাসপাতালে আরও উন্নত মানের পরিষেবা পাওয়া যাবে। শুধুমাত্র জেলার মানুষই নন, আশপাশের জেলাগুলির মানুষও এখান থেকে চিকিৎসা পাবেন। জেলার বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারবে জেলা হাসপাতাল। যা দরিদ্র মানুষদের জন্য সুরাহার চাবিকাঠি হবে। বহু সাধারণ মানুষ জেলা হাসপাতাল থেকে অত্যাধুনিক চিকিৎসা পাবেন খুব সহজেই।
তবে শুধুমাত্র ক্রিটিক্যাল কেয়ার ব্লক তৈরি নয়, হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগও ঢেলে সাজানো হবে। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ সূত্রে খবর, আসানসোল জেলা হাসপাতালে গড়ে উঠবে ডিস্ট্রিক্ট ইন্টিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরি, যেখান থেকে শারীরিক পরীক্ষা করানো যাবে। বহু দরিদ্র রোগী এখান থেকে নিজেদের শারীরিক পরীক্ষা করাতে পারবেন সুলভ মূল্যে যার ফলে রোগীদের আর বাইরে থেকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে পরীক্ষা করাতে হবে না।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। এই ব্যাপারে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, এই দুটি প্রকল্প গড়ে উঠলে জেলার মানুষ আরও উন্নততর চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। পাশাপাশি আশপাশের জেলাগুলির বহু মানুষ এখান থেকে উন্নত চিকিৎসা পাবেন। একই মন্তব্য করেছেন জেলা হাসপাতালে সুপার(Asansol Hospital)।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে জেলা হাসপাতালে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট রয়েছে মোট ১২ টি (Asansol Hospital)। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। যদিও এই সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার গড়ে উঠতে চলেছে পৃথক একটি ব্লক। যা জেলার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় আমূল পরিবর্তন আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Nayan Ghosh