অপূর্ব জানিয়েছে, সে কখনোই প্রথাগত ছবি আঁকা শেখেনি। নিজের থেকেই ছবি আঁকে। নানান শিল্প-কর্মের সঙ্গে সে যুক্ত। কিন্তু এত বড় একটা ছবি কীভাবে সম্ভব হল? প্রশ্নের উত্তরে অপূর্ব দত্ত জানায়, স্কুলের হল ঘরে সে এই ছবিটা এঁকেছে। মোট পাঁচ দিন সময় লেগেছে ছবিটি আঁকতে। স্কুলের বন্ধুরা তাকে রং করতে সাহায্য করেছে। শিক্ষকরাও খুব খুশি অপূর্বর এই শিল্পকর্ম দেখে। অপূর্ব জানিয়েছে, নেতাজি নামটার সঙ্গেই মনের ভেতর গভীর একটা আবেগ কাজ করে। সেই আবেগ থেকেই সে এই ছবিটি এঁকেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সভাপতি হয়ে সুভাষ তমলুকে গিয়ে আমবাগানে জনসভা করেন!
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর মাসেই অপূর্ব দত্ত এই ছবিটি তৈরি করেছিল। সে জানিয়েছিল, ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিনে এই ছবি অফিশিয়ালি পাবলিশ করতে চায়। এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে অপূর্ব। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই রাজ্যের আরও এক নাবালক খরগ্রামের বাসিন্দা সম্রাট কর, নেতাজির সবথেকে বড় ছবি এঁকে বিশ্ব রেকর্ড করেছিল। তার আঁকা ছবির দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ ছিল ২০ ফুট বাই ১৬ ফুট। তবে অপূর্বর নতুন এই ছবি ম্রাট করের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
সুভাষচন্দ্র বসুকে সম্মান জানাতে তাঁর সবথেকে বড় ছবি আঁকার পরিকল্পনা নিয়েছিল আসানসোলের এই নাবালক শিল্পী। তারপর নিজের বন্ধুদের সহযোগিতায় এই রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছে সে। অপূর্বর এই কীর্তিতে খুশি পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী সকলেই। উল্লেখ্য, একটি চকের উপর একাধিক মূর্তি তৈরি করে আগেই ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছিল অপূর্ব দত্তর। সে ইউটিউবের দৌলতেই এই সমস্ত কারুকলা শিখেছে। আর তারপর তৈরি করে ফেলছে একের পর এক রেকর্ড।
নয়ন ঘোষ