এই গাজন বছর শেষে পুণ্যার্থীদের অন্যতম গন্তব্যস্থল। বহু পুরনো এই চড়কে মেতে ওঠেন আশপাশের গ্রামগুলির মানুষজনও। বহু সন্ন্যাসী যোগদান করেছেন এই উৎসবে। বিভিন্ন রকম শারীরিক কসরত দেখিয়ে তারা শিব সাধনা করেছেন। যদিও গত দু'বছর সংক্রমনের জেরে সেইভাবে চড়ক উৎসব পালন করা সম্ভব হয়নি। তবে চলতি বছরে সংক্রমণ অনেক কমেছে। রাজ্য সরকার বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছে। তাই জাকজমকের সঙ্গে উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে গ্রামে। সেখানে শারীরিক কসরত দেখাতে দেখা গিয়েছে সন্ন্যাসীদের। দিনভর উপবাস রেখে স্নান করে তারা শারীরিক কসরত দেখিয়েছেন। আর এই শারীরিক কসরত দেখতে সামিল হয়েছিলেন বহু মানুষ। ভিড় জমিয়েছিলেন দেওধর শিব মন্দির এর কাছে। সকলেই বছরের শেষ দিনে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজে ছিলেন। বাংলা নববর্ষের আগের দিন এই চড়ক উৎসব মানুষের কাছে অপেক্ষার অন্যতম দিন।
advertisement
মূলত, বাংলার গ্রামেগঞ্জে চড়ক উৎসবের বেশি প্রচলন রয়েছে। তবে শহরাঞ্চলের আদি জায়গাগুলিতে ধুমধামের সঙ্গে চড়ক উৎসব পালন করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুরের বীরভানপুরের চড়ক উৎসব, সগড়ভাঙার চড়ক উৎসব, নডিহার উৎসব। তাছাড়াও জেলার একাধিক জায়গায় চড়ক উৎসব পালন করা হচ্ছে। তবে বুদবুদের কোটা গ্রামের শিবের গাজন অন্যতম নজর কাড়া।
Nayan Ghosh





