যদিও জেলা হাসপাতালের সুপার আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুত এই রক্ত সংকট মিটে যাবে। অন্যদিকে তিনি আবেদন জানিয়েছেন বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের কাছে, যাতে করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় তার জন্য। তবে রক্ত সংকট মেটা না পর্যন্ত, দুশ্চিন্তা কাটছে না বিভিন্ন রোগীর আত্মীয় পরিজনদের। প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছরই দুর্গাপুজোর আগে থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন কমে যায় জেলায়। ফলে পুজোর পরবর্তী ক্ষেত্রে রক্ত সংকট দেখা যায় অনেক সময়। অনেকটা তেমনই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে চলতি বছরে।
advertisement
ফলে রক্তের আকাল দেখা দিয়েছে জেলা ব্লাড ব্যাংকে। অথচ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত রক্ত নিতে হয়। পুজোর সময় অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে যায় বেপরোয়া চালকদের জন্য। তাদেরও রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু রক্তের আকাল দেখা দিলে, সমস্যায় পড়তে হয় চিকিৎসক এবং রোগীর পরিবার-পরিজনদের। স্বাভাবিকভাবেই এই বিষয়টি চিন্তায় ফেলেছে জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং জেলার মানুষকে।
আরও পড়ুনঃ কালীপুজোয় চরম ব্যস্ততা মহিশীলার পাল পাড়ায়! চাহিদা বেশি শ্যামাকালীর
তাই আসানসোল জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস সহ বিভিন্ন চিকিৎসকরা আবেদন জানিয়েছেন, যাতে করে জেলায় এই মুহূর্তে বেশি করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। তাহলেই এই রক্ত সংকট মেটানো যাবে বলে আশা করছেন তারা। উল্লেখ্য, পুজোর আগে পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন জায়গায় নিয়মিত রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছে নানান ক্লাব এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি।
আরও পড়ুনঃ কয়েক কুইন্টাল মাটি আর কয়েক মণ খড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে ৩০ ফুটের চামুণ্ডা
তাছাড়াও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট জেলা জুড়ে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিল। ফলে পুজোর আগে পর্যন্ত জেলায় রক্তের যোগান ঠিক ছিল। কিন্তু বর্তমানে রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। তবে আশার আলো এটুকুই, যে উদ্যোক্তারা ফের রক্তদান শিবিরের আয়োজন শুরু করেছেন। ফলে আশা করা হচ্ছে, খুব দ্রুত এই রক্তের আকাল মিটে যাবে।
Nayan Ghosh