আরও পড়ুন: এক সময়ের ব্রাত্য কচু দেখাচ্ছে লাভের দিশা, ধান ছেড়ে নতুন চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা
বেনাগ্রামের বেশ বদনাম রয়েছে। সারাবছর অন্ধকারেই কাটে গোটা গ্রামের। কিন্তু বছরে একটা দিন এই গ্রামে জ্বলে ওঠে আলো। হয় উৎসব। সারাবছর জন মানবহীন হয়ে থাকলেও লক্ষীপুজোয় আলো জ্বলে বেনাগ্রামে। বেনাগ্রামের যারা পুরনো বাসিন্দা তাঁরা এই একটা দিন নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। জাঁকজমক সহকারে গ্রামে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো পালন করেন। কিন্তু পুজো শেষে আবার রাতেই যে যার বর্তমান ঠিকানায় ফিরে যান।
advertisement
আসানসোলের নিয়ামতপুর থেকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে বেনাগ্রামের দিকে। গ্রামে ঢুকতেই রয়েছে লক্ষ্মী মন্দির। গ্রামে একাধিক বাড়িও আছে। কিন্তু সেই বাড়িগুলিতে এখন আর কেউ বসবাস করেন না। বাড়িতে কেউ না থাকার কারণে সেগুলি ধ্বংস হতে বসেছে। চতুর্দিক ছোট-বড় বিভিন্ন গাছে ভরে উঠেছে। গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি কালী মন্দির আছে। এর পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে আসানসোল-ধানবাদগামী রেললাইন।
এখানে একসময় বেশ কিছু পরিবারের বসবাস ছিল। কিন্তু কেন হঠাৎ করে গোটা গ্রামটা ফাঁকা হয়ে গেল তার কোনও সঠিক উত্তর আজও পাওয়া যায় না। আশপাশের অনেকের মুখেই বেনাগ্রাম নিয়ে নানান ভৌতিক কাহিনী শোনা যায়। যদিও গ্রামের বাসিন্দারা এই বিষয়টি মানতে নারাজ। এই বিষয়টিতে বিশেষ আমল দিতে নারাজ বিজ্ঞান মঞ্চ’ও।
ফলে সব থেকেও যেন কিছুই নেই বেনাগ্রামের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আধুনিক জীবন যাপনের জন্য যে সমস্ত সুবিধা প্রয়োজন, অর্থাৎ জল, বিদ্যুৎ, রাস্তা – সেই সুবিধা এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই। তাই তাঁরা অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তবে আজও কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিনটা এখানে বিশেষ হয়ে ওঠে।
নয়ন ঘোষ