আর এই বিয়ের সমস্ত ব্যবস্থা, আয়োজন করলেন তাঁর শ্বশুরমশাই। ছেলের বন্ধুর হাতে নিজের পুত্রবধূর কন্যাদান করেছেন তিনি। আর এই বিয়ের পিছনের ইতিহাস জেনে আয়োজক শ্বশুরকে সবাই বাহবা দিয়েছেন। বাহবা দিয়েছেন পাত্র এবং পাত্রের পরিবারকেও।
জানা গিয়েছে, বিয়ের আয়োজক শ্বশুরের নাম কিশোর চট্টোপাধ্যায়। তিনি জামুড়িয়ার চীচুুড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। কিশোর বাবুর একমাত্র ছেলে অনিমেষ চট্টোপাধ্যায় বিবাহের বছরখানেকের মধ্যেই মারা গিয়েছেন। সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোর বাবুর একমাত্র ছেলের।
advertisement
আরও পড়ুন : থাকছে সব নামী স্টল, বিক্রি বাড়াতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা কালনা বইমেলায়
তারপর থেকেই অনিমেষ বাবুর স্ত্রী পূজা চট্টোপাধ্যায় থাকতেন শ্বশুরমশাই কিশোর চট্টোপাধ্যায় এর কাছেই। পূজা এবং অনিমেষের রয়েছে একটি কন্যা সন্তান। আর এই দুজনের কথা ভেবেই নিজের পুত্রবধূর আবার বিয়ে দেওয়ার জন্য মনস্থির করেন কিশোর বাবু।
আরও পড়ুন : মাংসের গন্ধে হাজির পড়শির পোষা কুকুরকে দা দিয়ে কোপানো হল চা বাগানে
চিন্তাভাবনা মতোই শুরু হয় ব্যবস্থা এবং আয়োজন। অনিমেষের দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রভাত ফৌজদারের সঙ্গে পূজা চট্টোপাধ্যায়ের বিয়ে দেওয়ার মনস্থির করে দুটি পরিবার। তারপরে এদিন আসানসোলের ঘাগর বুড়ি মন্দিরে কার্যত জাঁকজমকহীন ভাবেই এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। স্বামী হারানো স্ত্রী পূজা, এবং তার পিতৃহারা কন্যাকে স্থায়ী অভিভাবকের ব্যবস্থা করে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন কিশোর চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে এই প্রস্তাবে রাজি হয়েছিলেন অনিমেষের দীর্ঘদিনের বন্ধু প্রভাত ফৌজদারও। সকলকেই সাধুবাদ দিয়েছেন দুই পরিবারের এই মহৎ উদ্যোগকে।