জামাইষষ্ঠী পালনে একাধিক আধুনিক বদল এলেও জামাইষষ্ঠী থেকে ব্রাত্য রূপান্তরকামীরা। রূপান্তরকামীরা সমাজের কাছে এখনও বেশিরভাগ অংশেই ব্রাত্য। সমাজের একটা বড় অংশ এখনও তাদের সমান চোখে দেখতে পারে না। কিন্তু কেন রূপান্তরকামী জামাইরা ব্রাত্য থাকবেন? তাদেরও তো অধিকার আছে এই উৎসবে শামিল হওয়ার। এই বার্তা সমাজের কাছে পৌঁছে দিতে অভিনব ফটোশ্যুট এক অভিনেতার। আসানসোল নিবাসী অভিনেতা সুমন চৌধুরীর ফটোশ্যুট ‘দাদার দিদিগিরি’তে উঠে এল সেই ছবি।
advertisement
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রূপান্তরকামী যুগলকে তাদের পরিবার মেনে নিতে পারে না। মেনে নিতে পারে না তাদের এই বিবাহ। এই ভয়ে জামাইষষ্ঠীর মতো উপভোগ্য দিনটি তাদের কাটাতে হয় কোনও রকম আনন্দ ছাড়া। তাই দাদার দিদিগিরির শুট এর মাধ্যমে অভিনেতা সুমনের বার্তা, এই জামাই ষষ্ঠী রূপান্তরকামী মেয়েদেরও। কোনও বিবাহিত রূপান্তরকামী মেয়ে এবং তাদের স্বামীরা যেন জামাইষষ্ঠীর আশীর্বাদ, ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হন, তাই এই উদ্যোগ।
অভিনেতা আরও বলেছেন, তারাও যেন সাধারণ মেয়ে জামাইয়ের মত ভালবাসা পান। তাদের পরিবার, বাবা মা যেন তাদের আশীর্বাদ করেন। কারণ সমাজের অধিকাংশ মানুষ তাদের সেই সম্মান দিতে পারেন না। কিন্তু তাদের নিজের বাবা-মা’ও যদি তাদের না বোঝেন, তাহলে তারা কাদের কাছে যাবেন, এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
অন্যদিকে এই বিষয়ে ফটোশুটের সহ অভিনেতা তথা সমাজকর্মী সন্দীপ বোস জানিয়েছেন, ‘‘ দাদার দিদিগিরি ফটোশুট রূপান্তরকামীদের সমাজের প্রাপ্য অধিকার পাইয়ে দেওয়ার একটা লড়াইয়ের নাম। রূপান্তরকামীদের পাশে দাঁড়ানো সমাজের প্রত্যেকের দায়িত্ব। তারা সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান বা সমাজের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে তারা যাতে বঞ্চিত না হোন, তার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারা চান, যাতে প্রত্যেকটি রূপান্তরকামী মানুষ অন্যান্যদের মতো তাদের প্রাপ্য সম্মান এবং অধিকার পান।’’