মন্দিরের বর্তমান সেবায়েত জানিয়েছেন, কিংবদন্তি অনুসারে জানা যায়, মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৮৫২ সালে। ছিল বাংলার ১২৯৯ সাল। শ্মশানকালী মন্দির হলেও এখানকার দেবী কমলা স্বরূপা। সেই জন্য অন্নপ্রাশন থেকে বিয়ের মত অনুষ্ঠানও এখানে পালন করা হয়। প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসের অমাবস্যায় এই মন্দিরের বার্ষিক পুজো হয়। তাছাড়াও প্রতি অমাবস্যা, কালীপুজো এবং বিশেষ তিথিতে নামে ভক্তদের ঢল।
advertisement
আরও পড়ুন : কাঁচা বা পাকা পেঁপে ভালবাসেন? এইসব ক্ষেত্রে মুখেও তুলবেন না! খেলেই চরম বিপদ! জানুন…
উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে ভিরিঙ্গি মন্দিরের অবস্থান। চারপাশে ব্যস্ত বাজার হলেও মন্দিরে বিরাজ করে অদ্ভুত শান্তি। এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা অক্ষয় কুমার রায়। তবে দেবীর বর্তমান মন্দিরটি তাঁর পুত্র রবীন্দ্রনাথ রায়ের হাতে তৈরি। এই দুই সাধকের সমাধি রয়েছে মন্দিরেই। মন্দির প্রাঙ্গনে মায়ের এক বিরল দৃশ্য দেখা যায়। সংকোটমোচন হনুমানের কাঁধে নন্দী-ভিরিঙ্গী সহ মহাকালীকে দেখা জয় এই মন্দিরে।
মন্দিরের পিছনে সিদ্ধাসন নামে একটি স্থান রয়েছে। যেখানে পঞ্চমুখী শিবলিঙ্গ বিরাজমান। মন্দিরে একটি বাঁধানো ঘাটও আছে। এই মন্দির সকলের কাছে আস্থার কেন্দ্র। ভক্তদের কাছে দেবী সদা করুণাময়ী। প্রত্যেক বছর বাৎসরিক পুজোর দিন বহু ভক্ত এই মন্দিরে আসেন। মন্দিরে আসা ভক্তদের জন্য রয়েছে একটি অতিথি আবাসও।